ksrm-ads

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই যান ঠেকাতে শাহ আমানত সেতুতে ৪ ওয়েস্কেল চালু

শাহ আমানত

অতিরিক্ত পণ্যবোঝাই যান ঠেকাতে শাহ আমানত সেতুতে ৪ ওয়েস্কেল চালু

এবার শাহ আমানত সেতুতে পণ্যবাহী যানবাহন পারাপারের আগে ওজন পরিমাপ করতে হবে। এজন্য সেতুর টোল প্লাজার দু’পাশে গাড়ির ওজন পরিমাপ করার জন্য ৪টি ওজন মাপার যন্ত্র (ওয়ে স্কেল) চালু করা হয়েছে। এখন থেকে সর্বোচ্চ ৫২ টন ওজন নিয়ে নতুনব্রিজ বা শাহ আমানত সেতুতে উঠতে পারবে যানবাহন।

সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) এবং সেতু বিভাগ ও টোল আদায়ের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কোম্পানি ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন ঘোষ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের সড়ক মহাসড়ক রক্ষা করতেই মূলত এই ওজন স্কেল স্থাপন করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে উভয়মুখী যানবাহনের ওজন পরিমাপ করা হবে এই মুভিং ওজন স্কেলগুলোতে।

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চালু ওজন স্কেল বেশ কিছুদিন পরীক্ষামূলকভাবে চালানোর পর কিছুদিন বন্ধ ছিল। পরে এখন গত কয়েকদিন ধরে পুরোদমে ওজন স্কেলের কার্যক্রম চলছে।

শাহ আমানত সেতুর পাশে স্থাপিত মুভিং ওজন স্কেলের উপর দিয়ে গাড়ি চলে যাওয়ার সময়ই ওজন রেকর্ড হচ্ছে। নতুন স্কেলে আবার বাড়তি ওজনের গাড়িগুলো থেকে জরিমানা আদায় করা হচ্ছে। না হয় ফেরত পাঠানো হচ্ছে। ওজন কমিয়ে আবার আসতে হচ্ছে।

এদিকে দেখা গেছে, স্কেলের স্বাভাবিক কার্যক্রমকে ঘিরে ইতোমধ্যে যানজট শুরু করেছে। পণ্যবাহী গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার সাথে সাথে কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু এলাকায় যানজট প্রকট হওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে।

তবে দক্ষিণের সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, যানজটের কোনো আশঙ্কা নেই। গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। সড়ক মহাসড়ক রক্ষার জন্য সরকারের নেয়া এই উদ্যোগে অবশ্যই সুফল মিলবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ কোম্পানি ইউডিসি-ভ্যান জেভি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার সুমন ঘোষ বলেন, ওজন স্কেল শুধু চট্টগ্রামের মহাসড়কে রয়েছে কথাটি ঠিক নয়। বঙ্গবন্ধু সেতুর আগেও ওজনস্কেল রয়েছে। দেশের আরো ২১টি পয়েন্টে ২৮টি ওজন স্কেল স্থাপিত হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

সওজ সূত্র বলেছে, মোটরযান এঙেল লোড নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকর করার লক্ষ্যে ওজন স্কেল স্থাপিত হয়েছে। নতুন আইনে ৬ চাকার যানবাহনে সর্বোচ্চ ওজনসীমা ২২ টন, ১০ চাকার ওজনসীমা ৩০ এবং ১৪ চাকার ওজনসীমা সর্বোচ্চ ৪০ টন, ১৮ চাকার ৪৭ টন, ২২ চাকার ৪৯ টন এবং ২৬ চাকার গাড়িতে ৫২ টন পণ্য পরিবহন করা যাবে। এর বাড়তি ওজনের গাড়ি ওভারলোড গাড়ি হিসেবে বিবেচিত হবে। বাড়তি ওজনের ক্ষেত্রে প্রথম টন কিংবা ভগ্নাংশের জন্য ৫ হাজার টাকা, পরবর্তী প্রতি টন এবং ভগ্নাংশের জন্য ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা আদায়ের বিধান রাখা হয়েছে।

কর্ণফুলী শাহ আমানত সেতু টোল প্লাজার অপারেশনাল ডিরেক্টর অপূর্ব সাহা বলেন, ওজন স্কেলে কাউকে হয়রানি করা হচ্ছে এমন নজির নেই। বাড়তি ওজনের গাড়ি থেকে জরিমানা আদায় করা হয়। কিন্তু এই রুটে তেমন কোনো বাড়তি ওজনের গাড়ি চলাচল করে না। স্বাভাবিক ওজনের গাড়িগুলো মুভিং স্কেলের উপর দিয়ে চলে যায়। তাদের থামতেও হয় না। তাদেরকে কোনো ফি দিতে হয় না। সড়ক মহাসড়ক রক্ষায় সরকার এই উদ্যোগ নিয়েছে।

আরও পড়ুন