মো: সৈকত »
১৯৯৯ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি। আজ থেকে ঠিক ২২ বছর আগে এক শীতের সকালে দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামের ২২ গজে ইতিহাস সৃষ্টি করেন অনিল কুম্বলে।
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অফ স্পিনার জিম লেকরের পর ইতিহাসের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে টেস্টের এক ইনিংসে ১০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়েছিলেন অনিল। সফরকারী পাকিস্তান দলের সব ব্যাটসম্যানই কুম্বলের ঘূর্ণিতে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেছিল। তাঁর কীর্তির সুবাদে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিরুদ্ধে ২১২ রানে জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া।
কুম্বলের একক দক্ষতায় সেই টেস্ট জেতার পাশাপাশি দুই টেস্টের সিরিজেও সমতা ফিরিয়েছিল মহম্মদ আজহারউদ্দিনের ভারত। চেন্নাইতে সিরিজের প্রথম টেস্টে শচিনের ১৩৬ রান করার পরও ভারত হেরেছিল ১২ রানে ।
টসে জিতে ব্যাট করে প্রথম ইনিংসে ২৫২ রান তোলে ভারত। আজহার সর্বাধিক ৬৭ ও সদগোপান রমেশ ৬০ রান করেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ১৭২ রানে গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। প্রথম ইনিংসেও কুম্বলে ৭৫ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন। হরভজনের ঝুলিতে এসেছিল ৩০ রানে ৩ উইকেট। দ্বিতীয় ইনিংসেও ৯৬ রান করেছিলেন বাঁহাতি ওপেনার রমেশ। ৬২ রানে অপরাজিত থাকেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। ফলে সেই টেস্ট জেতার জন্য পাকিস্তানের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৪২০ রান।
দুই পাক ওপেনার সাইদ আনোয়ার ও শাহিদ আফ্রিদি উদ্বোধনী জুটিতে ১০১ রান তুলে দলকে দুর্দান্ত সূচনা উপহার দেয় । অনিল কুম্বলে হাতে বল নেওয়ার পরেই পাকিস্তানের ব্যাটিং তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়ে। ৬০.৩ ওভারে মাত্র ২০৭ রানে শেষ হয়ে যায় ওয়াসিম আক্রমের দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রান দিয়ে ১০ উইকেট নেন এই প্রবাদপ্রতিম লেগ স্পিনার। দেশের হয়ে ১৩২ টেস্টে ৬১৯ উইকেট নিয়ে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে চির বিদায় জানান তিনি। মুথাইয়া মুরলিধরন (৮০০) ও শেন ওয়ার্নের (৭০৮) পর তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারিদের হিসেবে রয়েছেন অনিল কুম্বলে।
বাংলাধারা/এফএস/এমএস