রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি »
অপহরণের ২ দিন পর রাঙামাটি থেকে মো. হারুন সিকদার (৪৯) নামের এক সৌদি আরব প্রবাসীকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) রাত ১০ টার দিকে রাঙামাটির সদর থানার সহযোগিতায় অপহৃত হারুন সিকদারকে রাঙামাটির সদরের কাঁঠালতলি এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারের পর তাকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় নিয়ে আসেন চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার (রাঙ্গুনিয়া-রাউজান সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলামসহ দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার পুলিশের একটি চৌকস দল।
এ বিষয়ে রাঙামাটি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কবির হোসেন বলেন, চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার নেতৃত্বে আমাদের সহযোগিতায় অপহৃত প্রবাসী হারুন সিকদারকে উদ্ধার করা হয়। পরে ওইদিন রাতে তাকে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘর থেকে বের হলে অপহরণের শিকার হন তিনি। নিখোঁজ হারুন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পূর্ব সরফভাটা সিকদার পাড়া গ্রামের আমিন শরিফ সিকদারের ছেলে। প্রবাসী হারুনের পরিবার
সূত্রে জানা যায়, কয়েক বছর আগে তিনি সৌদি আরব থেকে এসেছেন। নিখোঁজের কয়েক ঘণ্টা পর স্বজনদের মোবাইলে ‘তারা আমাকে মেরে ফেলবে’― হারুনের কণ্ঠে এমন ভয়েস রেকর্ড পাঠিয়েছে অপহরণকারীরা। এরপর মধ্যরাতে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন স্বজনরা।
হারুনকে ফিরে পেতে তার পরিবার বুধবার (৫ অক্টোবর) সকালে দুটি মোবাইল নম্বরে দাবীকৃত ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দেওয়ার পরও তাকে ছাড়েনি দুর্বৃত্তরা। ঘটনার ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও উদ্ধারে পুলিশের তৎপরতা না দেখে পরিবারের উৎকণ্ঠা ও পুলিশের অসহযোগিতার অভিযোগও করেছেন ওই পরিবারের লোকজন।
এমন সংবাদ গণমাধ্যমে প্রচার হলে ওই দিন বৃহস্পতিবার রাতে চট্টগ্রামের সহকারী পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম তার এক ফেসবুক পোস্টে পুলিশের ওপর বিশ্বাস রাখতে বলেন। তিনি অতি শীঘ্রই সুখবর দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
অবশেষে আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনার ৪৮ ঘন্টার মাথায় এসে অপহৃত হারুনকে উদ্ধারে করতে সক্ষম হয় পুলিশ। উদ্ধারকৃত হারুনকে আজ শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে তার পরিবারের জিম্মায় বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওবায়দুল ইসলাম জানান, অপহৃত হারুনকে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। তারা কোন মামলা করেনি। তবে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।