কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের টেকনাফে ২২নং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প থেকে অপহৃত রোহিঙ্গা ৫ নেতার (হেড মাঝি) বাকি দুজনও উদ্ধার হয়েছেন। শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারী) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বালুখালী ক্যাম্প এলাকা হতে তাদের উদ্ধার কর হয়। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ততপরতায় অপহরনকারীরা তাদের ছেড়ে দিয়ে চলে গেছে বলে ধারণা করছেন ১৬ এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম তারিক। তাদেরও উদ্বার করে পালংখালী আর্মি ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।
অপহৃতদের মাঝে অপর তিনজনকে ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উখিয়াস্থ ক্যাম্প-১৪, হাকিম পাড়া -ব্লক এ-৪ থেকে উদ্বার করা হয়। গত বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারী) বেলা ২টার দিকে ক্যাম্প-২২ থেকে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা ৫ জন মাঝিকে অপহরন করা হয়।
শুক্রবার দিনগত রাতে উদ্ধার হওয়া মাঝিরা হলেন, ক্যাম্প-২২ ব্লক-বি-২’র নাজির হোসেনের ছেলে হেড মাঝি মো. রফিক (৪২), একই ক্যাম্পের ব্লক-সি’র নুরুল হাকিমের ছেলে হেড মাঝি আমান উল্লাহ (৪৫)।
সূত্র জানায়, বুধবার (১০ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে টেকনাফের ২১ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জ (সিআইসি) কার্যালয়ে মিটিং করতে গিয়ে নিখোঁজ হন ৫ জন রোহিঙ্গা মাঝি এমনটি দাবি করেছে তাদের পরিবারের সদস্যরা।
তাদের মাঝে ২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নজু মিয়ার ছেলে এ-ব্লকের হেড মাঝি ইউসুফ, জুলফিকার আলীর ছেলে বি-ব্লকের হেড মাঝি আবু মুসা, হারুনের রশিদের ছেলে ডি-ব্লকের হেড মাঝি সাব্বিরকে ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা উদ্ধার হন। আর এর একদিন পর বালুখালী ক্যাম্প এলাকা হতে আমানুল্লাহ ও রফিকের সন্ধ্যান মিলে।
ভুক্তভোগী রোহিঙ্গা পরিবারের সদস্যরা জানায়, বুধবার ২১ নং চাকমারকূল ক্যাম্পে বিশেষ সভায় যোগদান করেন নিখোঁজ ব্যক্তিরা। ঐদিন দুপুর ২টায় মিটিং শেষ হলেও বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পরও তাদের কেউ বাড়িতে ফিরে আসেননি। তাদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ থাকে।
স্বজনদের দাবি, নিখোঁজ রোহিঙ্গা নেতারা বিভিন্ন সময় রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যদের বিষয়ে আইনশৃংঙ্খলা বাহিনীকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করে আসছিলেন। তাই রোহিঙ্গা উগ্রপন্থী সশস্ত্র গ্রুপের সদস্যরা প্রতিশোধ নিতে তাদের অপহরণ করেছে বলে তাদের ধারণা।
৫ জন রোহিঙ্গা নেতা নিখোঁজের বিষয়টি স্বীকার করে ২১-২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইনচার্জ (সিআইসি) রাশেদুল হাসান বলেছিলেন, তারা (নিখোঁজরা) আমার সাথে মিটিং করতে এসেছিল, তা সঠিক নয়। ক্যাম্প-২২ এর রাস্তার কাজ চলছে। সেখানে সেনাবাহিনীর সাথে মাসিক বৈঠকে তারা এসেছিল।
২২নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এপিবিএন’র ইনচার্জ রাকিবুল ইসলাম স্বীকার করেছিলেন, বিশেষ সভায় গিয়ে এই ক্যাম্পের ৫ জন হেড মাঝি নিখোঁজ হন।
১৬ এপিবিএন অধিনায়ক পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম তারিক বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় উখিয়াস্থ ক্যাম্প-১৪, হাকিম পাড়া ব্লক এ-৪ থেকে তিনজনকে ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়। অপর দুজন শুক্রবার দিনগত রাতে বালুখালী ক্যাম্প এলাকা হতে উদ্ধার হয়। ধারণা করা হচ্ছে তাদের উদ্ধারে শৃংখলা বাহিনীর ততপরতা দেখে অপহরণকারিরা তাদের ছেড়ে দিয়ে যায়।
বাংলাধারা/এফএস/এআর