বাংলাধারা ডেস্ক »
অবশেষে বহুল আলোচিত পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিজানুর রহমানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর তার সাময়িক বরখাস্তের প্রজ্ঞাপন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জারি করেছে বলে মঙ্গলবার রাতে নিশ্চিত করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।
পুলিশের এই উপমহাপরিদর্শক নানা ঘটনায় আলোচনার মধ্যেই রয়েছেন বেশ অনেক দিন ধরে। তার বিরুদ্ধে দুদক মামলাও করেছে। তার বিদেশ পালানো ঠেকাতে সীমান্তে নজরদারিও বাড়ানোর কথা জানানো হয়েছে।
এক নারীকে জোর করে বিয়ের পর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ ওঠায় গত বছরের জানুয়ারিতে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনারের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় মিজানকে।
এর চার মাস পর তার সম্পদের অনুসন্ধানে নামে দুদক। সে দায়িত্ব যিনি পালন করছিলেন, সম্প্রতি দুদকের সেই পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ তোলেন ডিআইজি মিজান।
গত ৮ জুন তিনি দাবি করেন, তার কাছ থেকে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা বাছির। এর সপক্ষে তাদের কথপোকথনের কয়েকটি অডিও ক্লিপ একটি টেলিভিশনকে দেন তিনি। ওই অডিও প্রচার হওয়ার পর দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে।
ডিআইজি মিজান গত ১০ জুন সাংবাদিকরে বলেন, সব জেনেশুনেই তিনি কাজটি করেছেন ‘বাধ্য হয়ে’।
“তিনি (বাছির) যে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত, তা প্রমাণ করতে, তাকে ফাঁসানোর জন্য করেছি এবং নিজের সেইফটির জন্য করেছি।”
পুলিশ সদর দপ্তরের পক্ষ থেকে সে সময় বলা হয়েছিল, ডিআইজি মিজানের ব্যক্তিগত কোনো কাজের দায় পুলিশ বাহিনী নেবে না। পুলিশ হিসাবে বাড়তি কোনো সুযোগও তিনি পাবেন না। দোষী প্রমাণিত হলে সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পরে পুলিশ সদর দপ্তর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে, তার নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মইনুর রহমান চৌধুরীর (অ্যাডমিন অ্যান্ড অপারেশনস)।
এদিকে সোমবার দুদক মিজানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ মামলা করে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আদালতে তলবও করা হয়। ওই মামলার পর ডিআইজি মিজানের বিদেশে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা দেয় দুদক। তিনি যাতে বিদেশ যেতে না পারেন, সে বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ইমিগ্রেশন পুলিশের বিশেষ সুপারকে দেওয়া হয় চিঠি।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর