বাংলাধারা প্রতিবেদন »
নগরীর ইপজেড থানাধীন সিমেন্ট ক্রসিং রোড এলাকায় বাংলাদেশ গ্যাস আইন ২০১০ এর উপর মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। লাইসেন্সহীন এল.পি.গ্যাসের ব্যবসা ও অনুমোদনতিরিক্ত এল.পি.গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণ ও বিক্রি করায় ৪ টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে ২২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার (১১ মে) সকালে মোবাইল কোর্ট পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আলী হাসান।
আলী হাসান বলেন, ফাহাদ এন্টারপ্রাইজ বিস্ফোরক পরিদপ্তর বরাবর এল.পি গ্যাসের লাইসেন্স এর আবেদন করেছে কিন্ত লাইসেন্স পায়নি অধিকন্তু এরা অক্সিজেন গ্যাসের এর ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই অপরাধে ফাহাদ এন্টারপ্রাইজকে ৫০০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সাথে দ্রুত যোগাযোগ করে লাইসেন্স পাওয়ার জন্য সময় বেধে দেয়া হয়। পরবর্তীতে মালেক শাহ স্টোর এ অভিযান পরিচালনা করে দেখা যায় তারা লাইসেন্সবিহীন ব্যবসা পরিচালনা করছে। এই অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে ২০০০ টাকা জরিমানা করা হয় এবং দ্রুত লাইসেন্স করার জন্য সময় দেওয়া হয়।
তিনি বলেন, লাইসেন্সে ৪০ টি ( ৫০০ কেজি) এল.পি গ্যাস সংরক্ষণ ও বিক্রির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও খাজা ট্রেডার্স অনুমোদনতিরিক্ত ( প্রায় ১৫০টি) এল.পি গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণ ও বিক্রি করার অপরাধে তাদেরকে ৫০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং লাইসেন্সে অনুমোদন ৪০ টি ( ৫০০ কেজি) এল.পি গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণ ও বিক্রির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
তিনি আরও বলেন, লাইসেন্সে ৪০ টি ( ৫০০ কেজি) এল.পি গ্যাস সংরক্ষণ ও বিক্রির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা থাকলেও নিউ রুপালী ট্রেডিং অনুমোদনতিরিক্ত ( প্রায় ২৫০টি) এল.পি গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণ ও বিক্রি করার অপরাধে ১০০০০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং লাইসেন্সে অনুমোদন ৪০ টি ( ৫০০ কেজি) গ্যাসের সিলিন্ডার সংরক্ষণ ও বিক্রির বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটিকে আবাসিক এলাকা হতে সরে গিয়ে অন্যত্র ব্যবসা পরিচালনার জন্য ১০ দিন সময় দেয়া হয়।
উক্ত অভিযানে বিস্ফোরক পরিদপ্তরের সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক মুহাম্মদ মেহেদি ইসলাম খানসহ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সদস্যরা অংশ নেন।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম