বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ভূমি দখল সহ নানা অসামাজিক ও অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ায় মামলার আসামি হয়ে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন শেরশাহ আরেফিন নগর এলাকার মুহাম্মদ কামাল। এমনকি নিজের কিশোরী মেয়েকেও রক্ষা করতে পারেননি ধর্ষণের হাত থেকে।
মুহাম্মদ কামাল কক্সবাজার জেলার উখিয়া থানার ধুরুংখালি ইউনিয়নের মৃত নুর আহমদের ছেলে। তার বর্তমান ঠিকানা বায়েজিদ বোস্তামী। তাকে বার্মাইয়া কামাল বলা হলেও তথ্য মতে তিনি বাংলাদেশের প্রকৃত নাগরিক। তিনি এই এলাকার ভোটার। তার আইডি নং ৬৮৬ ০০৮ ৯৬০৩।

অভিযোগ করে কামাল জানান, ২০০৫ সালে আরেফিন নগর এলাকায় জৈনক জামাল আহমেদ নামক এক ব্যক্তির বাড়ির ইনচার্জের চাকরি নেন কামাল। কিন্তু দীর্ঘদিন কাজ করার পর কামাল জানতে পারেন তার জমিদার জামাল অবৈধভাবে ভূমি দখল সহ নানা অসামাজিক ও অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকেন। ভূমি দখলে জামালের সহযোগী হিসেবে মামলাও হয়েছিল কামালের নামে। এমনকি অস্ত্র ও মাদক মামলায়ও নাম উঠেছে কামালের। একসময় চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন কামাল এবং অবৈধ কাজে থাকবেন না জানিয়ে তিনি চাকরি ছেড়ে দেন।
এরপর তিনি সাবেক রোটারী ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সাবেক ডিস্ট্রিক্ট গভর্নর ও প্রগতি ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর সাবেক ডিরেক্টর ইঞ্জিনিয়ার আবদুল আহাদের জায়গার ইনচার্জের চাকরি নেন। আর এই চাকরি নেওয়ায় কামালের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে জামাল আহমেদ ও একই এলাকার পীর নেজাম উদ্দিন প্রকাশ নেজাম মামা।
এ ব্যপারে কামাল বলেন, আমার আগের মালিককে (জামাল) চাকরি ছেড়ে দেওয়ার কথা জানালে তিনি আমাকে মামলার হুমকি দিতেন। গতবছর জামালের ইশারায় ভন্ডপীর নেজাম আমার কিশোরী মেয়েকে ধর্ষণ করে। এ ব্যপারে আমার স্ত্রী বাদী হয়ে একটা মামলা করেছে। এই নেজাম আর জামাল মিলে আমার ও আমার পরিবারের জীবন বিপন্ন করে তুলেছে। আমি এসবের সুষ্ঠ বিচার চাই।
কামাল আরও জানান, জামাল ও নেজাম শুধুমাত্র আমাকে নয় আমার স্যারের আরজ গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জহুরুল করিম ও আরজ গ্রুপের স্টেইট অফিসার নুরুল আজম (ছাত্রলীগ নেতা এম আর আজিম এর বড় ভাই) এর সাথেও নানান ধরনের সমস্যা করে যাচ্ছে।
কামালের এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জামাল আহমেদ জানান,কামাল আমার হয়ে চাকরি করত। কিন্তু সে আমার চাকরি ছেড়ে দিয়ে আহাদ সাহেবের চাকরি নিয়ে আমার সাথে বিভিন্ন ধরনের ঝামেলা করে যাচ্ছে।
এসব ব্যপারে সুরাহা পেতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সমাজসেবকদের দ্বারস্থ হচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগী কামাল।
বাংলাধারা/এসএফ/এইচএফ