ksrm-ads

১৬ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

অর্ণামেন্টস ম্যাচিংয়ে ব্যস্ত তরুণীরা

মাকসুদ আহম্মদ, বিশেষ প্রতিবেদক »

কথায় আছে ছেলেরা সুন্দর। তাই তাদেরকে সাজতে হয় না। কিন্তু মেয়েদেরকে সুন্দরী সাজাতে প্রয়োজন পোশাকের পাশাপাশি অর্ণামেন্টস ম্যাচিং আর নানা হারবাল প্রক্রিয়ার ছোঁয়া। পোশাকের সঙ্গে অর্ণামেন্টস ম্যাচিং না হলে ঈদের আনন্দটা যাবে রসাতলে। তাই তরুণীরা এখন ব্যস্ত শেষ মুহুর্তের ম্যাচিং কেনাকাটায়। পোশাকের সঙ্গে বাহারী অর্ণামেন্টস ম্যাচিং করে কিনতে মরিয়া টিনেজরা। এদিকে বুটিকস হাউসের পোশাকে ফুটে উঠেছে কুটির শিল্পের নৈপুণ্য। আর এসব কুটির শিল্পে তৈরী পোশাক কালেকশনে ব্যস্ত তরুণীরা। টিনেজদের এসব কালেকশনের যোগান দিতে শুধু পাকিস্তান, ভারত, থাইল্যান্ডই নয়, দেশের আনাচে কানাচে থাকা ঐতিহ্যবাহী নিপূণ ঘরগুলোর তৈরি পোশাক নিয়ে জমে উঠেছে এবারের ঈদ বাজার।

পোশাকে চাকচিক্য চায় তরুণীরা। তৃতীয় প্রজন্মের এসব টিনেজরা রঙের সঙ্গে কাজের যেমন মিল খোজে তেমনি ঐসব পোশাক পরিধানেও নানা অর্নামেন্টসের প্রতি উদগ্রিব থাকে। এর পেছনে কাজ করছে নিজেদের সাজিয়ে তোলার প্রয়াস। প্রতিবছরই ঈদে নতুন চমক নিয়ে হাল ফ্যাশনের ডিজাইনের পোশাক নামে ভারতীয় ছবি ও আইটেম গার্লদের নামকে কেন্দ্র করে। আর বাঙালি পরিবারের মেয়েরা ঝুঁকে পড়ে এসব নামের উপর ভিত্তি করে পোশাকের খোঁজে। সে ফাঁকে অসাধু ব্যবসায়ী ও ডিজাইনাররা নাম প্রচারের মধ্যদিয়ে নিজেদের অবস্থান চাঙ্গা করে নেয়। মূলত দেশীয় সাজে, দেশীয় তেরি পোশাকের প্রতি সচেতন নাগরিকদের নানা বুলি শেষ পর্যন্ত ভেস্তে যায় বিভিন্ন শোরুমের ডিসপ্লে’তে সাজানো পোশাকের ভিড়ে।

বিভিন্ন শপিং মলের ডিসপ্লে’তে পছন্দসই পোশাক পাওয়া না গেলে ইন্ডিভিজুয়্যাল শো রুমগুলোতে হুমড়ি খেয়ে পড়ে পছন্দের পোশাকের জন্য। রমজানের প্রায় শেষের দিকে তৈরি পোশাক নির্ভরশীলরা মার্কেট, শপিং মল আর বুটিকস হাউসগুলোতে দৌড়াচ্ছে বাহারি কালেকশনে। পোশাকে নৈপূণ্য খুঁজে বেড়াচ্ছে টিনেজরা। রমজান শেষে ঈদের আনন্দ অনেকটা পোশাক নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। টিনেজ থেকে শুরু করে শিশুদের মধ্যেও পোশাকের বাহার কাজ করছে প্রতিনিয়ত। তবে প্রবীণ সমাজ এক সময় সাধাসিধে পোশাক নির্ভরশীল থাকলেও ডিজিটাল এ যুগে এসে তৃতীয় প্রজন্মের দেখাদেখি রঙিন পোশাকে অনেকেই নিজেদের সাজাতে চায়। ফলে টিনেজদের সঙ্গে ছুটছে প্রবীণরাও।

মেয়েদের পোশাকের ক্ষেত্রে রঙের যেমন ছোয়া থাকতে হবে বর্তমান ফ্যাশনের আলোকে তেমনি ডিজাইন ও কাটিংয়ে বৈচিত্রপূর্ণ না হলে পোশাকের আগ্রহ কমে যায়। এমব্রয়ডারি বøক, চুমকিসহ বিভ্ন্নি মোটিভে পোশাক তৈরির ছোঁয়া ধরে রাখতে কারিগররাও টিনেজদের টার্গেট করেই পোশাক তৈরিতে সারা বছর ব্যস্ত সময় কাটিয়ে তৈরি পোশাকের সমাহারগুলো তুলে ধরে ডিসপে¬র মাধ্যমে। পোশাকে কটন, সিল্ক, মসলিন, লিলেন কটন, এন্ড্রি সিল্ক ও এন্ডি কটন কাপড়ে এবারের তরুণীদের আকর্ষণ কাড়তে ডিজাইনাররা তৈরি করেছে হরেক রকমের ফ্যাশনেবল পোশাক। কাটিং ও ডিজাইনে এসেছে নতুনত্ব। কিন্তু বুটিকস হাউসগুলো ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে উঠলেও ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে আগের তুলনায় অনেকটা এগিয়ে গেছে বলে চট্টগ্রামে ক্রেতা সাধারণের অভিমত।

আড়ংয়ের ফতুয়া ও পাঞ্জাবী কালেকশনে তরুণদের অবস্থান একধাপ এগিয়ে। তবে পাঞ্জাবীর সঙ্গে তরুণরা এখন ওড়না ব্যবহারের যে ফ্যাশন তুলে ধরেছে তাতে শিশুরাও পাঞ্জাবীর সঙ্গে তাদের চাহিদা মেটাতে অভিভাবকদের নজরে দিয়ে বিচরণ করছে মার্কেটগুলোতে। তরুণ সমাজের মধ্যে এবার টি শার্ট, পলো টি শার্ট, ক্যাজুয়্যাল টি শার্ট, ফরমাল টি শার্ট, ফতুয়া ও পাঞ্জাবী কমন আইটেমে পরিণত হয়েছে। নগরীর বিভিন্ন শপিং মলগুলোর মধ্যে আমিন সেন্টার, আখতারুজ্জামান সেন্টার, চিটাগাং শপিং সেন্টার ছাড়াও একক শো রুমের মধ্যে ক্যাটস আই, সৃষ্টি, অঞ্জনস, সালসা বিলসহ নামিদামি বেশকিছু ডিসপ্লে এবার তরুণদের জন্য ভাল কালেকশন রেখেছে।

ফ্যাশনের পাল্লা ভারী করতে আড়ংয়ের মত ক্ষুদ্র কুটির শিল্পে তৈরি হাতের নকশী কালেকশনেও টিনেজদের পিছুটান নেই। এদিকে, বিভিন্ন ক্রেতারা নগরীর পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজারের তুলনা করতে গিয়ে ঈদের পোশাকের দাম অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশি বলে দাবি করেছেন। এ বছর আবার ইন্ডিভিজুয়্যাল শো রুমের সংখ্যাও বেড়ে গেছে ঈদকে কেন্দ্র করে অল্প কিছুদিনের মধ্যে। নগরীর সবচেয়ে বেশি একক শো রুম দেখা যাচ্ছে চক বাজার, জিইসি ও আগ্রাবাদ কেন্দ্রিক।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ