অল্প বয়সে চুল পেকে যাওয়ার অন্যতম কারণ হলো কিছু গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ও খনিজের ঘাটতি। বিশেষ করে নিম্নলিখিত ভিটামিনগুলোর অভাব চুল পাকার জন্য দায়ী হতে পারে-
১. ভিটামিন বি১২: এটি চুলের রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করে। বি১২-এর ঘাটতি হলে মেলানিন উৎপাদন কমে যায়, যা চুলের প্রাকৃতিক রঙের জন্য প্রয়োজনীয়।
উৎস: দুধ, ডিম, মাছ, মাংস, দুগ্ধজাত খাবার।
২. ভিটামিন বি৯ (ফোলেট/ফলিক অ্যাসিড): নতুন কোষ উৎপাদনে সহায়তা করে এবং চুলের রঙ ধরে রাখতে সাহায্য করে।
উৎস: সবুজ শাকসবজি, ডাল, বাদাম, ফলমূল, ডিম।
৩. ভিটামিন বি৭ (বায়োটিন): এটি চুলের গঠন ও রঙ ঠিক রাখার জন্য প্রয়োজনীয়।
উৎস: ডিমের কুসুম, বাদাম, শাকসবজি, দুধ, কলা।
৪. ভিটামিন ডি: চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ও অকালে পেকে যাওয়া রোধ করতে সাহায্য করে।
উৎস: সূর্যালোক, ডিম, ফ্যাটি মাছ, দুগ্ধজাত খাবার।
৫. ভিটামিন ই: এটি একটি শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা চুলের পিগমেন্টেশন বজায় রাখতে সাহায্য করে।
উৎস: বাদাম, বীজ, শাকসবজি, সূর্যমুখীর তেল।
এছাড়াও, আয়রন, কপার ও জিঙ্কের ঘাটতিও চুল পাকার কারণ হতে পারে।
প্রতিরোধের উপায়-
পুষ্টিকর খাবার খান
চুলে রাসায়নিক পণ্য কম ব্যবহার করুন
পর্যাপ্ত ঘুম ও স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণ করুন
ধূমপান পরিহার করুন
আপনার চুল যদি খুব দ্রুত পেকে যায়, তাহলে ডাক্তার বা পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিতে পারেন।
