ksrm-ads

১৪ জুন ২০২৫

ksrm-ads

আতঙ্ক না ছড়িয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান নওফেলের

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আতঙ্ক না ছড়িয়ে দেশবাসীকে সতর্কতা অবলম্বন করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষ উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এমপি।

বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) দুপুরে ও গতকাল বুধবার (১৮ মার্চ) বিকালে নওফেল তাঁর ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এ আহ্বান জানান।

সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিমূলক ও আতঙ্ক ছাড়িয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দেয়া থেকে বিরত থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি ফেসবুকে লিখেন-

‘হায়রে বাঙালি’, ‘গেলো গেলো সব গেলো’, আমাদের দিয়ে কিচ্ছু হবেনা, ‘সরকারের কি দরকার?’, ‘সব বন্ধ ঘোষণা করে কানাডার মত ঘরে ঘরে বেতন দেয়া হোক’, এই ‘বিজ্ঞ’ সমালোচক এবং স্বঘোষিত বিশেষজ্ঞদের জানা উচিৎ, সব দেশেই এই কোরোনা নিয়ে সংকট চলছে।’

শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের ফেসবুকে দেয়া স্ট্যাটাস

‘ভুলে গেলে চলবেনা দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ পৃথিবীতে একটি উজ্জল উদাহরণ। অনেক আফ্রিকা এশিয়ার দেশে এই ধরনের মহামারী থামানোর সক্ষমতা উন্নত অনেক দেশের চাইতে বেশি। আমরা আমাদের সাধ্যমতো সম্পদের সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে এর বিস্তাররোধ করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।’

এর আগে গতকাল বুধবারও স্ট্যাটাস দিয়েছেন। বাংলাধারা পাঠকদের জন্য তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘সতর্কতা অবলম্বন আর আতঙ্ক ছড়ানো এক নয়। অনেকে সকাল বিকাল করোনা সতর্কতার জন্য যেভাবে আলোচনা করছি, এতে মনে হচ্ছে করোনার কারনে মৃত্যুর চাইতে, সকল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে, ঘরে বসে না খেতে পাওয়াকেই অনেকে ভালো মনে করছি। করোনার জন্য সতর্ক হওয়ার সচেতনতা সৃষ্টি ভালো। কিন্তু দিনরাত ফেসবুকে আতঙ্ক ছড়িয়ে সকল অর্থনৈতিক, সামাজিক কর্মকান্ড বন্ধ করার কোনো প্রয়োজন নাই।’

‘বাংলাদেশ মঙ্গল গ্রহে নয়, এই পৃথিবীর আলোবাতাসেই বাংলাদেশ। করোনা বাংলাদেশে আছে, আসবে। আমাদের এর নিয়ন্ত্রণের জন্য সার্বিকভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা, যত্র তত্র থুথু, কফ, নাকের ময়লা, বাসাবাড়ির ময়লা ফেলা, প্রস্রাব করা, এইসব প্রবৃত্তি কমানোর সচেতনতা তৈরি করা দরকার। সবকিছু বন্ধ করেও ইতালি পারে নাই বিস্তার রুখতে। এই ভাইরাসের চিকিৎসা উপসর্গ ভিত্তিক। তাই আগে থেকে চিকিৎসা নাই, চিকিৎসা চাই আলোচনা, হাসপাতালে টেস্ট এর জন্য ভীড়, কেনো টেস্ট করা হচ্ছেনা এই আলোচনা, এগুলো পরিহার করতে হবে।’

‘করোনার উপসর্গ দেখা দিলে নিজেকে আবদ্ধ করতে হবে, তাই করোনা হয়েছে সন্দেহে হাসপাতালে ভীড় করলে হীতে বিপরীত হবে। আসুন স্বাভাবিক কার্যক্রম বাদ দেয়ার আলোচনার চাইতে সতর্কতা ও পরিচ্ছন্নতার সাথে জীবনযাপনের আলোচনাই আমরা করি। আতংক, শংকা, ভীতি এসবের কারণে আমরা করোনা যা ক্ষতি করবে এর চাইতে বেশি সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষতি আমরা নিজেদের করবো।’

বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ

আরও পড়ুন