ksrm-ads

১৩ জানুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

জামিন শুনানি ২ জানুয়ারী

আদালতে আসেননি চিন্ময়ের ওকালতনামা জমা দেওয়া আইনজীবী

নিরাশ হলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী

রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি হবে ২ জানুয়ারি।  দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর মামলা লড়তে ঢাকা থেকে আসা সুপ্রিম কোটের আইনজীবী  রবীন্দ্র ঘোষ ওকালতনামা জমা দেওয়া চট্টগ্রামের আইনজীবী সুমীত আচার্য্যকে উপস্থিত করতে  পারেন নি। তাই শুনানির আবেদন নথিভুক্ত করে  বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম এ আদেশ দেন।

সরেজমিনে দেখা যায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে পুলিশি পাহাড়ায় আদালতে উপস্থিত হন রবীন্দ্র ঘোষ। এ সময় ওকালতনামা যাচাইয়ের জন্য ওই আইনজীবীকে উপস্থিত করতে আদালত সময় বেঁধে দেন। তাই শুনানির আবেদন নথিভুক্ত করে আদালত এ দিন ধার্য করেন। ওকালতনামা জমা দেওয়া আইনজীবীর উপস্থিতির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করা হয়। তিনি আদালতে আসেন নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চট্টগ্রাম কোর্টের এক আইনজীবী জানান এজলাসে থেকে সুমিতকে ফোন করা হলে তিনি অস্বীকার করেন।

এজলাশ শেষে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আশরাফ হোসেন চৌধুরী রাজ্জাক বলেন, ‘আদালত জানিয়েছেন, কোনো বিধিতেই ওনি মামলাটি মুভ (লড়তে) করতে পারেন না। যিনি ওকালতনামা দিয়েছেন তিনি যদি ওনার সহযোগিতা চান; সেক্ষেত্রে তিনি এটি মুভ করতে পারেন। কিন্তু ওনি সরাসরি কোনোভাবেই এটি মুভ করতে পারবেন না।’

আইনজীবী সমিতির এ নেতা জানান, এটি নিয়ে হাইকোর্টের স্পষ্ট রুলিং আছে। যে লোকাল বারের আইনজীবী যদি ওনাকে অ্যানগেজড করেন সেক্ষেত্রে ওনি ওনার সাথে অ্যাসিস্ট করতে পারেন। এটা চট্টগ্রাম বারের না শুধু এটা সারা বাংলাদেশের নিয়ম। ওনি এটা ফলো না করে মামলা মুভ করতে এসেছেন।

এর আগে, গতকাল (বুধবার) সকাল ১১টায় ঢাকা থেকে মামলায় লড়তে এসে তিন আবেদন নিয়ে চিন্ময়ের পক্ষে বুধবার আদালতে দাঁড়ান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। কিন্তু তাঁর ওকালতনামা আর আসামিপক্ষের লিখিত কোনো আবেদন না থাকায় সব নাকচ করে দেন আদালত।

উল্লেখ্য, গত ৩১ অক্টোবর জাতীয় পতাকা অবমাননার দায়ে নগরের কোতোয়ালী থানায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। পরে তাকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেপ্তার করে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। গত ৩ ডিসেম্বর জামিন শুনানিতে চিন্ময়ের পক্ষে কোনো আইনজীবী অংশ না নেওয়ায় আদালত শুনানি পিছিয়ে ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি ধার্য করেন।

বাংলাধারা/এ.এস

আরও পড়ুন