ksrm-ads

১৫ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

আনোয়ারায় পোষাককর্মী গণধর্ষণের মূল হোতার ‘গুলিবিদ্ধ’ লাশ উদ্ধার

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

চট্টগ্রামের আনোয়ারায় কর্মস্থল থেকে বাসায় ফেরার পথে সিএনজি অটোরিকশায় কিশোরী পোষাককর্মীকে  গণধর্ষণ মামলার এক আসামির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রোববার (৭ জুলাই) সকালে আনোয়ারা ইকোনোমিক জোনের পাহাড়ি এলাকা থেকে গণধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী আব্দুন নুর (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ। সে আনোয়ারার বৈরাগ এলাকার আবদুস সাত্তারের ছেলে।

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দুলাল মাহমুদ বাংলাধারাকে বলেন, আব্দুন নুরের বিরুদ্ধে থানায় তিনটি ছিনতাই মামলা ছিল। পাশাপাশি সে কিশোরী পোষাককর্মীকে ধর্ষণের মূল পরিকল্পনাকারী ছিল বলে জবানবন্দি দিয়েছে এ ঘটনায় গ্রেফতার দুই আসামি। গত দুই দিন ধরেই আমরা তাকে খুঁজছিলাম।

তিনি বলেন, আজ সকালে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে আনোয়ারা ইকোনোমিক জোনের পাহাড়ি এলাকা থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সে একটি ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। আমরা ধারণা করছি চক্রের সদস্যদের অন্তকোন্দলের কারণে সে খুন হয়ে থাকতে পারে।

এর আগে, শুক্রবার রাতে গ্রেফতার হওয়া দুই আসামি সিএনজি অটোরিকশা চালক মোহাম্মদ মামুন (২০) ও হেলাল উদ্দিন (৩০) শনিবার বিকেলে চট্টগ্রামের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জয়ন্তী রাণী রায়ের আদালতে ধর্ষণের ঘটনা স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

জবানবন্দি দেওয়া আসামি মামুনের বাড়ি আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ এলাকায় এবং হেলালের বাড়ি পটিয়া উপজেলার ছনহরা এলাকায়।

জবানবন্দিতে আসামিরা জানিয়েছে- ধর্ষণের পরিকল্পনা করেই তারা চারজনের মধ্যে একজন চালক বেশে ও অন্য তিনজন যাত্রীবেশে চাতরি চৌমুহনী এলাকায় দাঁড়িয়ে ছিল। কিশোরী কোরিয়ান ইপিজেডে কর্ণফুলী সু ফ্যাক্টরিতে কাজ শেষে চন্দনাইশে বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই সিএনজি অটোরিকশায় উঠে। কালারমার দীঘি এলাকায় পৌঁছালে তারা ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ফেলে পালিয়ে যায় তারা।

খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন এসে বুধবার (৩ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে চৌমুহনীর কালারমার দীঘি এলাকা থেকে  কিশোরীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করায়।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর

আরও পড়ুন