আনোয়ারা উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন পরিষদ সমূহের জনসেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম গতিশীল রাখার স্বার্থে ইউনিয়ন পরিষদ পরিচালনার জন্য আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা পেলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)৷ইউনিয়ন পরিষদে (ইউপি) ধারাবাহিকভাবে অনুপস্থিতি থাকায় ৮ জন ইউপি চেয়ারম্যানদের স্থলে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম এর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
নিয়োগপ্রাপ্ত প্রশাসনিক কর্মকর্তারা হলেন বৈরাগ, বারশত, বারখাইন,আনোয়ারা সদর ও চাতরী ইউনিয়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আকতার এবং রায়পুর, বরুমচড়া ও জুঁইদন্ডী ইউনিয়নে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ হোছাইন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার জানান, আটটি ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে যা আগামীকাল (৩০) জানুয়ারি বৃহস্পতিবার এই চিঠির কার্যকর হবে।
ক্ষমতাচ্যুত হওয়া চেয়ারম্যানরা হলেন,০১নং বৈরাগ ইউপি চেয়ারম্যান নোয়াব আলী,০২নং বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ুম শাহ,০৬ নং বারখাইন ইউপি চেয়ারম্যান হাসনাইন জলিল শাকিল,০৭নং আনোয়ারা সদর ইউপি চেয়ারম্যান অসীম কুমার দেব,০৮ নং চাতরী ইউপি চেয়ারম্যান আফতাব উদ্দিন চৌধুরী সোহেল,০৫ নং বরুমচড়া ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল ইসলাম,০৩নং রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীন শরীফ এবং ১১নং জুঁইদন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইদ্রিস।
উল্লেখ্য যে : চেয়ারম্যানরা ৫ আগস্টে সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে থাকায় ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিতির কারণে পরিষদে জনসেবাসহ সাধারণ কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। বর্তমান ভোটার হালনাগাদ করতে পরিষদে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিতে বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে জনসাধারণ।এমনকি জন্ম নিবন্ধন,ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়নপত্র সহ গুরুত্বপূর্ণ কাগজে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগও উঠেছে। গত ২২ জানুয়ারি আনোয়ারা উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যানদের অপসারণ এবং প্রশাসক নিয়োগের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাছে স্মারকলিপি দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম জেলা সমন্বয়করা।