আনোয়ারা প্রতিনিধি »
চট্টগ্রামের আনোয়ারায় পরকীয়া প্রেমিকার বাড়িতে মো. ইলিয়াছ (৩২) নামে এক ইমামের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের দাবি, কথিত প্রেমিকা ও তার পরিবার মধ্যরাতে ইলিয়াছকে ডেকে এনে পরিকল্পিত হত্যা করেছে।
বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাত ১টার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের জাফর ইকবালের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ইলিয়াছ বাঁশখালী উপজেলার গন্ডামারা এলাকার আব্দুল আলিমের পুত্র।
স্থানীয় ও আনোয়ারা থানা সূত্রে জানা যায়, নিহত মো. ইলিয়াছ একবছর পূর্বে ওই এলাকার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। ইলিয়াছ নিজে বিবাহিত ও দুই সন্তানের জনক। ইমামতি করার সময় স্থানীয় জাফরের স্ত্রী চার সন্তানের জননী জান্নাতুল মাওয়া নিপার সাথে পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। পরকীয়ার কথা জানাজানি হলে নিপাকে তার স্বামী জাফর তালাক দেয়। সেসময় ইলিয়াছকে ওই মসজিদ থেকে চাকরিচ্যুত করে। সে বর্তমানে পটিয়া উপজেলার একটি মসজিদে ইমামতি করতেন। পাশাপাশি চার সন্তানের জননী নিপার সাথেও যোগাযোগ রাখতেন।
এদিকে, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পরকীয়া প্রেমিকা তিন সন্তানের জননী জান্নাতুল মাওয়া নিপা ও তার ভাইকে আটক করেছে পুলিশ।
নিহতের পরিবারের দাবী, ঘটনার দিন জান্নাতুল মাওয়া নিপা ইলিয়াছকে ফোন করে বাড়িতে নিয়ে আসে। সকালে তাদের উঠানে ইলিয়াছকে মুমুর্ষূ অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা আনোয়ারা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিপার মা ছলিমা খাতুন জানান, ইমাম ইলিয়াছের আরও দুটি বউ আছে। তার কারণে আমার মেয়ের সংসার ভেঙেছে। সে আমার মেয়েক উঠিয়ে নিতে পারে না। আমার মেয়েকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিতে দেয় না। আমরা তাকে আমার মেয়ের সাথে যোগাযোগ না করতে বললেও সে শুনে না। গত বুধবার রাতে সে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মেয়ের সাথে কথা বলতে চাইলে আমরা বাধা দিই। সে কথা বলতে না পেরে সঙে আনা বিষের বোতল থেকে বিষপান করে ফকিরহাট বাজারে চলে যায়। সেখানে ঘুরে পড়ে গেলে লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সে মারা যায়।
আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মির্জা মো. হাছান জানান, রায়পুর ইউনিয়নে বাঁশখালীর গন্ডামারার ইলিয়াছ নামে এক ইমামের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা পরকীয়া প্রেমিকা ও তার ভাইকে জিজ্ঞাবাদের জন্য আটক করি। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। পোস্টমর্টেম রিপোর্ট পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।