আনোয়ারা প্রতিনিধি »
আনোয়ারা উপজেলায় মুক্তিযোদ্ধা ঠাকুর দাশের(৬৮) উপর হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৯ জুন ঠাকুর দাশ বাদী হয়ে চট্টগ্রাম ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৬ জনকে আসামী করে এই মামলা দায়ের করেন। আদালত আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জকে (ওসি) এটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে দুই দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেন। মামলায় আসামীরা হলেন রাখাল দাশ (৪৫), বসু দাশ, বাসু দাশ (৩২), রিশু দাশ (৩৫), বকুল বালা দাশ (২৮), রাজীব দাশ (২৮)।
মামলার এজহার সুত্রে জানা যায়, আনোয়ারা উপজেলার চাতরী ইউনিয়নের কৈনপুরা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধ ঠাকুর দাশ গত ২৬ জুন তার নিজস্ব বসত ভিটাতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করেন। পরদিন সকালে পাশ্ববর্তী রাখাল দাশ ও তার ছেলেরা বহিরাগত সন্ত্রাসী লোকজন এনে দিন দুপুরে সীমানা প্রাচীরটি ভেঙ্গে ফেলে। এসময় মুক্তিযোদ্ধ ঠাকুর দাশ বাঁধা দিতে গেলে তাঁকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে। এসময় আসামীরা এবং বহিরাগত সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে ঠাকুরদাশদের উপর হামলার চেষ্টা চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি ও গালিগালাজ করে। একপর্যায়ে সীমানা প্রাচীর সম্পূর্ণ ভাঙ্গা শেষ হলে বহিরাগত সন্ত্রাসী ও আসামীরা ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। এ ঘটনায় গত ২৯ জুন মুক্তিযোদ্ধা ঠাকুর দাশ বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মো. মুনির বলেন, আমি রাস্তায় কথা বলতে ছিলাম। এমন সময় দেখি রাখাল দাশরা বহিরাগত লোকজন নিয়ে মুক্তিযোদ্ধা ঠাকুরদাশদের দেয়া সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করে।
মুক্তিযোদ্ধা ঠাকুরদাশ বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধের সময় আমি তাদেরকে আগলে রেখেছিলাম। আজ তাদের সন্তানরা আমাকে মারধর করেছে। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
মলার তদন্ত কর্মকর্তা কাইমুল ইসলাম মামলার কথা স্বীকার করে বলেন, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। এখানে সীমানা প্রাচীর ভাঙচুর করা হয়েছে। এ বিষয়ে আরো বিস্তারিত তদন্ত শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
আনোয়ারা সার্কেল এ এসপি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ঠাকুর দাশের মামলাটি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য আমি আনোয়ারা থানার ওসিকে বলে দিয়েছি। তিনি যাতে ন্যায় বিচার পান সে বিসয়টি নিশ্চিত করা হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর