বাংলাধারা প্রতিবেদন »
দুর্নীতির অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণ দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। এ হামলায় শিক্ষকসহ প্রায় ২৫ জন আহত হয়েছে বলে জানা যা।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনেেআন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলা চালানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং বিকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে হল ছাড়ার নিদের্শ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ছাত্রলীগ র্বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা-কর্মীরা এই হামলা চালায় বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
জানা যায়, উপাচার্যের অপসারণ দাবিতে রোববার সন্ধ্যা সাতটা থেকে উপাচার্যের বাসভবন ঘেরাও করে রেখেছিলেন ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনরত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা পৌনে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানার নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে এসে আন্দোলনরতদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।
হামলায় ১৫-২০ জন আন্দোলনরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ চার সাংবাদিক আহত হয়েছেন। তাদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। হামলা চলাকালে উপাচার্যের বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশকে নীরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় বলে জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এছাড়া উপাচার্যপন্থী শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ‘ধর ধর’, ‘জবাই কর’ স্লোগান দিয়ে হামলায় উস্কানি দিতে দেখা যায়।
হামলার বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুয়েল রানা বলেন, আমরা শিবিরমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শিবির সংশ্লিষ্টতার সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে।
মঙ্গলবার দুপুরে এক জরুরি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা, বিকাল সাড়ে পাঁচটার মধ্যে হল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এসএস