ksrm-ads

১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

কক্সবাজার-১

আপিলেও টিকেনি নৌকার প্রার্থী সালাহ উদ্দিন

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে জমা দেয়া মনোনয়নপত্র ঋণখেলাপির দায়ে ৩ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের নৌকার প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের প্রার্থীতা বাতিল করেছিলেন। তা ফেরত পেতে নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছিলেন কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদ। কিন্তু চুড়ান্ত শুনানিতে সালাহউদ্দিনের বাতিল প্রার্থীতা ফেরত দেয়নি নির্বাচন কমিশনও (ইসি)। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে পঞ্চম দিনের মতো মনোনয়নপত্র গ্রহণ ও বাতিলের বিরুদ্ধে করা আপিল আবেদনের শুনানিতে সালাহউদ্দিনের বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত জানায় ইসি।

একই আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য এবং চলতি নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিকে, ঋণখেলাপী বিষয়ে বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি ও জনতা ব্যাংকের করা দুটি রিট পিটিশনের নিস্পত্তি করতে সুপ্রিমকোর্টের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চে বসেন। সেখানে শুনানী শেষে আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে দুটি রিটের নিস্পত্তির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের একক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। এতে সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির নাম ঋণখেলাপির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া অর্থঋণ আদালতের আদেশে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশই বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।

সূত্রমতে, গত ৩ ডিসেম্বর প্রার্থী যাছাই-বাচাইয়ের দিনে কক্সবাজার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরান খেলাপির অভিযোগ এনে আওয়ামী লীগ মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন। এরপরের দিন সালাহউদ্দিন আহমদ নির্বাচন কমিশনে আপিল করেন। গত ১০ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন আপিল শুনানী শেষে ১৫ ডিসেম্বর অর্ডারের জন্য দিন ধার্য্য করেন।
গত ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাটাবেজ ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) ঋণ খেলাপীর তালিকা থেকে সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপির নাম বাদ দেওয়ার জন্য বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিন্নাত হকের বেঞ্চে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেন। এর প্রেক্ষিতে শুনানী শেষে বেঞ্চটি সিআইবির তালিকা থেকে বাদ দিতে আদেশ দেন (পিটিশন নং (১৫৬৩৭)।

এদিকে গত ১১ নভেম্বর অর্থঋণ যুগ্ম জেলা জজ আদালত চট্টগ্রাম সালাহ উদ্দিন আহমদকে ঋণখেলাপী থেকে অব্যাহতি দিয়ে একটি আদেশ দেন। ৭ ডিসেম্বর ওই আদেশের বিরুদ্ধে জনতা ব্যাংক চট্টগ্রাম লালদীঘি শাখার পক্ষ থেকে হাইকোর্টের একটি বেঞ্চে আবেদন করেন। এরপ্রেক্ষিতে ঋণ যুগ্ম জেলা জজ আদালত চট্টগ্রামের দেওয়া আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট।

উভয়পক্ষ রিটের বিরুদ্ধে আপীল করা হয় আপিল বিভাগে। আপিল বিভাগের বিচারপতি এম এনায়েত রহিম দুটি রিটের নিস্পত্তির জন্য প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠিয়ে দেন। গত ১৩ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট বিচারপতিগণ শুনানী শেষে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে নিস্পতির জন্য হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ মাহবুবের একক বেঞ্চে পাঠিয়ে দেন।

রায়ের পর প্রতিক্রিয়ায় কক্সবাজার-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহমদ সিআইপি বলেন, আমি মামলা ও মনোনয়ন নিজের পক্ষে আনতে শেষ পর্যন্ত লড়বো। নির্বাচন কমিশনে যাব। সেখানে প্রার্থীতা টিকলে ভালো, না টিকলে আপিল করবো। আমার দৃঢ বিশ্বাস আমার মনোনয়ন বৈধ হবে।

অবশেষে ১৫ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের রায়ে তিনি প্রার্থীতা ফিরে পাননি। ইসির ঘোষণার পর এখনো কোন প্রতিক্রিয়া জানান নি সালাহ উদ্দিন।

আরও পড়ুন