বাংলাধারা প্রতিবেদক »
করোনা মহামারির কারণে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করায় গত বছরের ২০ জুন চট্টগ্রামস্থ এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেন-এ অধ্যয়নরত ১১০ শিক্ষার্থী নিজ দেশ আফগানিস্তানে ফেরত গিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আরও বেশ কিছু শিক্ষার্থী ধাপে ধাপে ফেরত গিয়েছিল।
সেদিন সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে, কাম এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে তারা বাংলাদেশ ত্যাগ করেন।
বাংলাদেশে অবস্থিত আফগানিস্তান দূতাবাস সরাসরি তদারকির মাধ্যমে এদেশে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার কার্যক্রম পরিচালনা করেছিল।
দেশটিতে তালেবানের উত্থানের কারণে চলমান উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ওই শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করে।
এরপর ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) মাশফি বিনতে শামসের তত্ত্বাবধানে উজবেকিস্তানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলম, আফগানিস্তানে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার দপ্তর এবং চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেন আটকে পড়াদের দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেন।
জানা যায়, ওই শিক্ষার্থীরা গতকাল (২৬ আগস্ট) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে একটি বিশেষ ফ্লাইটে প্রথমে ঢাকা ও পরে চট্টগ্রামে আসার কথা ছিল। কিন্তু কর্তৃপক্ষের অনুমতি না থাকায় তারা ২০ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বিমান বন্দরের বাইরে অবস্থান করতে হয়েছিল।
ওই বিশেষ ফ্লাইটে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থী এবং আটকে পড়া ১০ বাংলাদেশিও আশার কথা রয়েছে।
চট্টগ্রাম শাহআমানত বিমানবন্দরের ম্যানেজার উইং কমান্ডার ফরহাদ হোসেন খান এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আফগানিস্তান থেকে শিক্ষার্থীদের বহনকারী বিশেষ বিমানটি ঢাকায় অবতরণ করার কথা রয়েছে।
তবে তারা চট্টগ্রামে কীভাবে আসবে সেটি জানানো না হলেও এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইম্যানের এক কর্মকর্তা গতকাল সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রথমে তারা কাবুল থেকে ঢাকায় আসবে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) নিয়ম মেনে তাদেরকে চট্টগ্রামে আনা হবে।
বাংলাধারা/এফএস/এআই