সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার»
কক্সবাজারের উখিয়া ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ফের ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। আগুনের লেলিহান শিখায় ৩ শতাধিক রোহিঙ্গা বসতি পুড়ে ছাই হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আরো শতাধিক বসতি। মঙ্গলবার (৮ মার্চ) বলেন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উখিয়ার লম্বাশিয়া ৫ নম্বার ক্যাম্পে শুরু হওয়া অগ্নিকাণ্ডের দীর্ঘ ২ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অগ্নিকান্ডে এক শিশুর মৃত্যু হলেও দিনের বেলা অগ্নিকাণ্ড হওয়ায় তেমন হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত ত্রাণ ও শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার ডা. শামসুদ্দৌজা নয়ন।

শামসুদ্দৌজা নয়ন বলেন, ক্যাম্পের একটি ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে বলে জেনেছি। বাতাস থাকায় দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়েছে। দমকল বাহিনীকে খবর দেয়া হলে তারা সহসা ঘটনাস্থলে আসে। সবাই প্রচেষ্টায় ২ ঘন্টার মাথায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনের অনেক তীব্রতা বেশি। এক শিশু মারাগেছে বলে জানা গেলেও তার পরিচয় এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ এখনো নির্ধারণ হয়নি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উখিয়া স্টেশনের কর্মকর্তা মো. এমদাদুল হক জানান, উখিয়ার ৫ নাম্বার ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে আমাদের টিম ঘটনাস্থলে রওনা দেয়। অন্য এলাকার টিম এসে কাজে যোগ দেয়। প্রায় দু’ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন-১৪ (এপিবিএন) এর অধিনায়ক (পুলিশ সুপার) নাইমুল হক জানান, ক্যাম্পে আগুন লাগার খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে আমাদের লোকজন কাজ করেছে। ফায়ার সার্ভিস এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে চেষ্টা চালায়।
গত ৯ জানুয়ারি উখিয়ার শফিউল্লাহ কাটা এলাকার একটি শরণার্থী শিবিরে সন্ধ্যায় এক অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৬০০ ঘর পুড়ে যাওয়ায়। তিন হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় হারিয়েছেন। এর আগে ২ জানুয়ারি উখিয়া বালুখালী ২০ নম্বর ক্যাম্পের জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইওএম) পরিচালিত করোনা হাসপাতালের জেনারেটর থেকে এই অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। এছাড়া গত বছরের ২২ মার্চ উখিয়ার বালুখালীতে আগুনে পুড়ে মারা যায় ১৫ জন রোহিঙ্গা। তখন ১০ হাজারের মতো ঘর পুড়ে ছাই হয়েছি।