ksrm-ads

১৬ জানুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

আ‘লীগের মাসুম ও বিএনপি’র মনির নেতৃত্বে ২ ঘন্টা রাস্তা অবরোধ

59410547 2271312976521495 4389645224360542208 n

বাংলাধারা প্রতিবেদন »

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসতী উচ্ছেদের অংশ হিসেবে নগরীর লালখান বাজার এলাকায় মতিঝর্ণা, পোড়া কলোনী ও টাংকি পাহাড়ে বিচ্ছিন্ন করা বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ  পুনঃস্থাপনের দাবিতে সিডিএ এভিন্যিউ‘র লালখান বাজার মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এলাকাবাসী। এ বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন যুবলীগ নেতা দিদারুল আলম মাসুম ও বিএনপি নেত্রী মনোয়ারা বেগম মনি। এ সময় রাস্তায় তীব্র জানজটের সৃষ্টি হয়। দূর্ভোগে পড়ে নগরবাসী।

রবিবার (৫ মে) দুপুর ২ টার দিকে পানি চাই-বিদ্যুৎ চাই-বাঁচার মত বাঁচতে চাই স্লোগানে দাবি-দাওয়া মেনে না নেয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেয় এলাকাবাসী।

পরে পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর পৌণে ৪ টার দিকে  দিদারুল আলম মাসুম অবরোধ তুলে নেয়ার নির্দেশ দেন।

এর আগে গতকাল পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের উচ্ছেদের অংশ হিসেবে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়। এ সময় বাঁধার মুখে পড়েন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। চার ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে গ্যাস, পানি ও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন এবং একটি ট্রান্সফর্মার খুলে নেয়ার চেষ্টা করলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও নগর মহিলা দলের সভাপতি মনোয়ারা বেগম মনি, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম, মতিঝর্ণা ইউনিট আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ইব্রাহিম ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় কয়েকশ নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে হইহুল্লোড় শুরু করেন।

এদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালত রবিবার (৫ মে) সকালে পোড়া কলোনীতে ৪০ টি ঘর-বাড়ি উচ্ছেদ করে। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকাবাসী রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করে।

স্থানীয় বাসিন্দা খলিলুর রহমান বাংলাধারাকে জানান, ৩০ বছর ধরে এ এলাকায় বসবাস করছি। আমাদের কাছে গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। আমরা নিয়মিত বিলও পরিশোধ করেছি। পূর্বে ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন কেটে দেয়া হয়েছে।

খাদিজা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ঘরে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে। আমার কোন বকেয়া বিল নেই। গতকাল সারারাত বিদ্যুৎ ছাড়াই তীব্র গরমে কষ্ট সহ্য করে রাত কাটিয়েছি।

দশম শেণীর ছাত্র ফয়সাল অভিযোগ করেন, কোন প্রকার পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই গ্যাস, বিদ্যুৎ ও গ্যাসের লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তাছাড়া, আমাদের ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে দেয়া হয়েছে। ঘরের আসবাবপত্র ও অন্যান্য সরঞ্জাম অন্যত্র সরানোর জন্য কোন সময় দেয়া হয় নি।

বাংলাধারা/এফএস/এমআর/টিএম/বি

আরও পড়ুন