বাংলাধারা প্রতিবেদক»
দুরদানার দুরন্তপনা দিয়ে শুরু, সেই প্রেম গিয়ে ঠেকেছে কন্যা শামারোখ অপরুপতায়। জাহিদের শেষ ভাগে এসেছে সোহিনী, অব্যক্ত কথন তাকেও বলা হয়নি। তাইতো সেই উপন্যাসের নাম হয়েছে ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’। প্রয়াণের টানে সেই দ্বিতীয় খন্ডও আর প্রকাশ হয়নি। সাহিত্যের পরতে পরতে প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে যাওয়া ২৮ জুলাইয়ের কোনো এক সময়ে শেষ নিঃশ্বাসটুকু ফেলে মুড়িয়ে যান সাদা কাফনে। লেখক, ঔপন্যাসিক, কবি, চিন্তাবিদ ও গণবুদ্ধিজীবী চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান আহমদ ছফা’র ২১তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার গাছবাড়িয়া গ্রামের এক মধ্যবিত্ত পরিবারে তার জন্ম। আজ থেকে ২১ বছর আগে অনন্ত অসীমের পথে চলে যান একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত এ লেখক।
সমাজের ইতিহাস, বিবর্তন ও মননশীলতা নিয়ে ছফা লিখেছেন ‘সিপাহী যুদ্ধের ইতিহাস’ ও ‘যদ্যপি আমার গুরু’ এর মতো গ্রন্থ। গল্প, গান, উপন্যাস, কবিতা, প্রবন্ধ, অনুবাদ, ইতিহাস ও ভ্রমণকাহিনী মিলিয়ে রচনা করেছেন ৩০টিরও বেশি বই। ১৯৬৭ সালে তিনি লেখেন তার প্রথম উপন্যাস ‘সূর্য তুাম সাথী’। এছাড়া তার অন্যান্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে আরেকটি বিখ্যাত উপন্যাস হলো ‘ওঙ্কার’।
বাংলাদেশের চিন্তা জগতেও আহমদ ছফা ছিলেন অনন্য। ‘বুদ্ধিবৃত্তির নতুন বিন্যাস’ ও ‘বাঙ্গালি মুসলমানের মন’ নামে দুটি প্রবন্ধ বইয়ে ছফার চিন্তার সেই অনন্যতার প্রতিফলন ঘটেছে।
নর নারীর প্রেমেজ হলো সবচাইতে জটিলতম শিল্পকর্ম। প্রেমেজ একটি অঙ্গীকার না থাকলে প্রেমের কাহিনী বয়ান করা যায় না। আহমদ ছফার ‘অর্ধেক নারী অর্ধেক ঈশ্বরী’ উপন্যাসে প্রেমেজ অঙ্গীকার নিয়েই প্রেমের এসব কথা বলেছেন গুণী এই লেখক। সাহিত্যের পাতাজুড়ে প্রেম, আশা- আকাঙ্খা এবং মানুষের জীবনের সাথে মিশে থাকা উপাদানগুলো সুনিপুণভাবে তুলে ধরেছেনে এই সাহিত্যিক।
২১তম প্রয়াণ দিবসে তার স্মৃতির প্রতি রইলো গভীর শ্রদ্ধা, বাংলা সাহিত্যে যুগ যুগ বেঁচে থাকুক আহমদ ছফা।