বাংলাধারা প্রতিবেদন »
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী এটিএম পেয়ারুল ইসলাম বলেছেন, রাজনীতি হচ্ছে আমার জন্য ইবাদত। আর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত থাকতে পারাকে পুণ্যের কাজ মনে করি। অনেক অত্যাচার-নির্যাতন, জেল-জুলুম, মামলা আর ষড়যন্ত্রকারীর বঞ্চনা সত্ত্বেও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন আর জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে আছি। আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতে পারাকে পুণ্যের কাজ মনে করি।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটি হলে ফটিকছড়ি সাংবাদিক পরিষদ-চট্টগ্রামের নবনির্বাচিত কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে মনোনয়ন দিয়ে আমার নেত্রী ও মনোনয়ন বোর্ড যে আস্থা রেখেছেন তার প্রতিদান আমি কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করবো। ‘গ্রাম হবে শহর’- মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্যোগ বাস্তবায়নে চট্টগ্রামের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য এবং সব পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে কাজ করবো। চট্টগ্রামের উন্নয়নের পাশাপাশি ইতিহাস, ঐতিহ্য আর সংস্কৃতির বিকাশেও কাজ করে যাব।
তিনি আরও বলেন, ফটিকছড়ির বিগত উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রতিটিতে আমার ভূমিকা আছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুতায়ন, অবকাঠামোসহ প্রতিটি প্রকল্পের জন্য পরিশ্রম করেছি। রামগড় স্থলবন্দর ও ইমিগ্রেশন প্রকল্প আমার প্রস্তাবে হয়েছে। আগামীতে নাজিরহাট পুরাতন সেতুর স্থলে নতুন সেতু স্থাপন করবো।
সংগঠনের নবনির্বাচিত সভাপতি ও বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফারুকের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নির্মল চন্দ্র দাশ ও সিনিয়র সহ সভাপতি রতন কান্তি দেবাশীষ।
উপস্থিত ছিলেন পরিষদের সহ সভাপতি রাশেদ মাহমুদ, যুগ্ম সম্পাদক আলতাফ মিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক বাচ্চু বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু মুসা জীবন, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাইফুল্লাহ চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য বিপুল বড়ুয়া, স্থায়ী সদস্য শতদল বড়ুয়া, আহমদ আলী চৌধুরী, আবদুস সাত্তার, রেজাউল করিম, শ্যামল নন্দী, সুমন দে, আজিম অনন, জালাল রুমি প্রমুখ।