বাংলাধারা প্রতিবেদন »
ইডেন টেস্ট। গোলাপি বলের ঐতিহাসিক এ টেস্টে বাংলাদেশ হেরে গেলো ইনিংস ও ৪৬ রানে। একটাই প্রশ্ন বারবার ঘুরে ফিরে এসেছে বাংলাদেশ কী টেস্ট খেলাটাই ভুলে গেলো নাকি ? বাউন্সার সামালাতে পারছে না। আঘাত নিয়ে কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি হলো। ভারত জুজুর কাছে পরাস্ত মুমিনুলের দল। এ এক অন্যরকম লজ্জার হেরে যাওয়া। ইতিহাস গড়ার দিনে বিবর্ণ এক ডায়েরি লিখলো বাংলাদেশ। কোন কিছুৃরই কমতি ছিল না। কমতি ছিল শুধু বাংলাদেশ দলের ভাল খেলার।
টেস্টের প্রস্তুতি বা মেজাজ কিছুই ছিল না বাংলাদেশের। টিকে থাকার ধৈর্য -ওয়াক থু, সেটি আবার কী। কে কার আগে সাজঘরে ফিরবে সে প্রতিযোগিতায় নেমেছিল ওরা। বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ছিল দৃষ্টিকটূ। তৃতীয় দিনে ৮.৪ বল খেলেই বাংলাদেশ মেনে নিল ইনিংস ও ৪৬ রানের বড় হার। কলকাতার গোলাপি বলে বাংলাদেশ এবং ভারতের প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্টটা দু’দলের কাছেই স্মরণীয়। কিন্তু ফলটা বাংলাদেশের কাছে ভুলে যাওয়ার মতো।
কলকাতা টেস্টে ইডেন গার্ডেনসের সবুজ উইকেট দেখেও সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে শুরুতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে ইশান্ত শর্মা-মোহাম্মদ শামিদের তোপে ১০৬ রানে অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। এর মধ্যে দুই ব্যাটসম্যান কনকাশন হয়েও মাঠ ছাড়েন। জবাব দিতে নামা ভারত গোলাপি বল কিংবা দিবা-রাত্রির টেস্ট সেসব তোয়াক্কা না করে প্রথম ইনিংসে দারুণ ব্যাটিং করে। ৯ উইকেট হারিয়ে তারা তুলে ফেলে ৩৪৭ রান। এরপর ৫৮ রানে হুট করে ৫ উইকেট হারানোয় বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে কন্ডিশনের সুযোগ নেয় ভারত। ২৪১ রানের লিড নিয়ে ঘোষণা করে প্রথম ইনিংস।
দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ সেই রান করতেই কুপোকাত। ফ্লাডলাইটের নিচে প্রথমবার গোলাপি বলে ব্যাট করতে নেমে ১৩ রানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেখান থেকে আর উঠতে পারেনি। অলআউট হয়ে যায় ১৯৫ রানে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৭৪ রান করেন মুশফিকুর রহিম। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৯ রান করে দ্বিতীয় দিনই হ্যামস্ট্রিং ইনজুরিতে পড়া মাহমুদুল্লাহ। এর আগে সাদমান ইসলাম এবং মুমিনুল হক শূন্য রানে আউট হন। ইমরুল কায়েস ও মোহাম্মদ মিঠুন যথাক্রমে ৫ ও ৬ রান করে ফিরে যান। আল-আমিন করেন ২১ রান।
ভারতের হয়ে প্রথম ইনিংসে পাঁচ উইকেটসহ কলকাতা টেস্টে নয় উইকেট নিয়েছেন ইশান্ত শর্মা। উমেশ যাদব দ্বিতীয় ইনিংসে পাঁচ উইকেটসহ তুলে নিয়েছেন আট উইকেট। মোহাম্মদ শামি নেন বাকি দুই উইকেট। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ইনিংসে ইবাদত হোসেন এবং আল আমিন হোসেন তিনটি করে উইকেট নেন। আবু জায়েদ দুটি এবং তাইজুল ইসলাম নেন এক উইকেট।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম