কক্সবাজার প্রতিনিধি »
ইয়াবা গডফাদার হিসেবে আলোচিত হাজী সাইফুল করিমের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলার সপ্তাহ পার না হতেই তার দুই সহোদরকে ইয়াবা ও অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে টেকনাফ থানা পুলিশ। শুক্রবার রাতে নিজ বাড়ি হতে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ।
আটকরা হলো, টেকনাফ পৌরসভার শীলবনিয়া পাড়ার মোহাম্মদ হানিফ ওরফে হানিফ ডাক্তারের ছেলে রাশেদুল করিম রাশেদ ও মাহাবুবুল করিম মাবু। টেকনাফ মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রদিপ কুমার দাশ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শিলবুনীয়া পাড়ার হানিফ ডাক্তারের বাড়িতে পুলিশের একটি টিম অভিযান চালায়।
এসময় ইয়াবা গডফাদার ও দুদক মামলায় অভিযুক্ত সাইফুল করিমকে পাওয়া না গেলেও তার দু’সহোদর মাবু ও রাশেদকে আটক করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তি মতে ঘরের অভ্যান্তরে লুকানো অবস্থা থেকে ১০ হাজার ইয়াবা, ৪টি এলজি ও ১০টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, ইয়াবার বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে সাইফুল করিমকে আইনের আওতায় আনতে একাধিক প্রশাসনিক টিম তৎপরতা চালালেও আত্মগোপনে থাকায় তাকে আটক করা সম্ভব হচ্ছে।
সম্প্রতি জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। মাদক নির্মূল অভিযানের কিছুদিন পর এলাকার মাদক বিরোধী ক্ষুব্দ জনগন তার বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করেছিলো। এদিকে, দীর্ঘদিন পর হলেও কালো টাকার শক্তির দূর্গ ভেদ করে ইয়াবা গডফাদার সাইফুল করিমের ডেরায় সফল অভিযান চালায় পুলিশের পুলিশের প্রতি সাধুবাদ জানিয়েছে সুশীল সমাজ ও সাধারণ জনগণ।
সাইফুলের পুরো পরিবার ইয়াবাসহ নানা অনৈতিক ব্যবসায় জড়িত বলে দাবি করেছে ওয়াকিবহাল মহল। প্রশাসনিক ঝামেলা এড়াতে আটক রাশেদ ও মাবু সম্প্রতি গণমাধ্যমকর্মীদের সহকারী হিসেবে যুক্ত হন।
আটকদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি প্রদীপ।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর/বি