ksrm-ads

১৭ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

ঈদের সালামীকে ঘিরে বসেছে ‘টাকার বাজার’

ফাহিম আল সামাদ »

ঈদের দিনে সেমাই-পোলাও এর পাশাপাশি বাচ্চাদের অন্য এক আনন্দ ‌‘ঈদ সালামি’। আর এই ঈদ সালামিতে বাচ্চাদের আবদার ‘নতুন টাকা’। এই নতুন টাকার চাহিদাকে ঘিরে নগরীতে চলছে ‘টাকার বাজার’। ঈদের নতুন জামা-জুতার মতোই বিক্রি হচ্ছে ‘নতুন টাকা’ বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) নগরীর নিউ মার্কেট এলাকা ঘুরে দেখা যায় বিপণি বিতানের সামনে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন দোকানি সামনে নতুন টাকার বান্ডিল নিয়ে বসেছেন বিক্রির উদ্দেশে। যেখানে পাওয়া যাচ্ছে ২, ৫, ১০, ২০, ৫০, ১০০ ও ৫০০ টাকার বান্ডিল। যা কিছু লভ্যাংশ নিয়ে তারা বিক্রি করছেন ক্রেতাদের কাছে।

ঈদের অন্যান্য পণ্যের মতো ‘নতুন টাকা’ কিনতেও ভিড় করছেন ক্রেতারা। চলছে বিক্রেতাদের সাথে দর কষাকষি। ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন বিক্রেতার কাছে তার দর-দাম করে কিনছেন ‘নতুন টাকা’।

সরেজমিনে ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন গড়ে দুই থেকে তিন লাখ টাকার নতুন নোট বিক্রি করছেন তারা।

তারা জানান, দুই টাকা নোটের একটি বান্ডিল (১০০টি নোট) ৩০ থেকে ৫০ টাকা লাভে বিক্রি হয় ২৩০-২৫০ টাকায়। পাঁচ টাকার বান্ডিল বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকা লাভে ৫৬০-৫৮০ টাকায়। ১০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লাভে বিক্রি হয় ১১৫০-১২০০ টাকায়। ২০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ১৫০ থেকে ২০০ টাকা লাভে বিক্রি ২১৫০-২২০০ টাকায়। ৫০ টাকা নোটের এক বান্ডিল ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা লাভে বিক্রি হয় ৫৩০০-৫৫০০ টাকায়।

নতুন টাকা কিনতে আসা মামুনুল ইসলাম বাংলাধারাকে বলেন, ‘বাচ্চাদের কাছে ঈদের নতুন জামার মতোই নতুন টাকা। নতুন টাকা ছাড়া বাচ্চারা ঈদ সালামি নিতেই চায় না। ঈদে তাদের আনন্দ যেন দ্বিগুণ হয়ে যায় নতুন টাকায়। তাই নতুন টাকা কিনতে এসছি।’

আরেক ক্রেতা শিফাতুল কবির বলেন, ‘মূলত বাচ্চাদের জন্যেই নতুন টাকা কিনতে আসা। ঘুরে ঘুরে দাম দেখছি, মোটামুটি দাম আগের চেয়ে বেশী কয়েক জায়াগয়। ২০, ৫০ আর ১০০ টাকার বান্ডিল নিলাম আপাতত।’

বিপনি বিতান এলাকার নতুন টাকা বিক্রেতা কামরুল ইসলাম বাংলাধারাকে বলেন, ‘দিনের বেলা রোদের কারণে ভিড় কম হলেও ইফতারের পর ক্রেতাদের ভিড় বাড়ে। বর্তমানে এখন ৫০ টাকার চাহিদা বেশী। চাহিদা অনুযায়ী আমরা টাকা সরবরাহ করছি।’

আরেক ব্যবসায়ী হৃদয় হোসেন বলেন, ‘গত দুই বছরে মহামারীর কারণে ব্যবসা কম হলেও এবার ক্রেতা মোটামুটি আছেন। সন্ধ্যার পর থেকেই অনেক মানুষ ভিড় করে।’

এভাবে টাকা বিক্রি আইনত অবৈধ হওয়া শর্তেও কেন বিক্রি করছেন এমন প্রশ্নে ব্যবসায়ীরা জানান, কেবল চাহিদা থাকায় তারা এ ব্যবসা করছেন। সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন নোটের চাহিদা বেশী বলেই তারা নতুন নোট এভাবে সরবরাহ করছেন।

এদিকে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের জন্য দুই দফায় ১ হাজার ৮৫৩ কোটি টাকার নতুন নোট বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের চট্টগ্রাম শাখায় আঙুলের ছাপ দিয়ে ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকা নোটের মোট ১৮ হাজার টাকা বিনিময় করতে পারবেন গ্রাহকরা।

তবে আঙ্গুলের ছাপ ছাড়াই নগরীর ৫টি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখায় নতুন টাকা পাওয়া যাচ্ছে। নির্ধারিত ব্যাংকের শাখাগুলো হলো- যমুনা ব্যাংক লিমিটেড (বহদ্দারহাট শাখা), ব্যাংক এশিয়া লিমিটেড (অক্সিজেন শাখা), প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড আইবিবি (পাহাড়তলী শাখা), এবি ব্যাংক লিমিটেড (ইপিজেড শাখা) এবং সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেড (হালিশহর শাখা)।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ