ksrm-ads

১৭ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

ঈদে বিনোদনের জন্য প্রস্তুত ফয়’স লেক

বাংলাধারা প্রতিবেদক »

প্রাচ্যের রাণী খ্যাত চট্টগ্রাম শহরের বুক চিরসন্দর্য বিস্ময় ফয়’স লেক। ৩৩৬ একর জমির বশির ভাগ এলাকাজুড় আঁকাবাকা লেক প্রায় পাঁচ কিলামিটার আর এর দুপাশ জুড় রয়েছে সংরক্ষিত সবুজ প্রকৃতি । নীল আকাশ আর অবারিত সবুজ পাখির কুজন আর  হরিণের মায়াবী চাহনি  মুগ্ধ কর তোল পর্যটকদের। নগরীর বুক চিড়ে জেগে উঠা লেক সত্যিই বিরল । জীব বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ ফয়’স লেকের কােলে ঘেষে থাকা  পাহাড়-টিলা গাচ-গাছালিতে ভরপুর।

এখানকার পাহাড়গুলা নানা নামে পরিচিত। যেমন- অরুণিমা, জলটুঙ্গি, গাধুলি, অস্তাচল, আকাশমণি, বনশ্রী, হিমঝুরি, আসমানি, গগনদ্বীপ, উদয়ণ ইত্যাদি। পাহাড়জুড়ে গাছগাছালির মধ্যে রয়ছ সেগুন, গর্জন, কড়াই, একাশিয়া, আগর, সানালু, কনকচূড়া, রাধাচূড়া, কাঠবাদাম, ডুমুর, পাম, থাইকড়াইসহ বিভিন প্রজাতির বনজ গাছ। ওষুধি গাছের মধ্য রয়েছে বসাক, নিম, অর্জুন, বিশল্যকরণী, পাথরকুচি, দারুচিনি, স্বর্ণগন্ধা, মতমূলিসহ নানাপ্রজাতির গাছ। ফুলের মধ্য গােলাপ, গাঁদা, রঙ্গন, জুঁই, চম্পা, করবী, বকুল, নয়নতারা, চরি ইত্যাদি।

নয়ন জুড়ানাে প্রাকৃতিক সন্দর্য অক্ষুন্ন রেখে সব বয়সী মানুষদর জন্য কনকর্ড এটারটইটমট কা. লি. গড় তুলছ বিনাদন কদ্র। আর্কষণীয় এই বিনাদন কেদ্র দুই ভাগে বিভক্ত- অ্যমিউজমট পার্ক এবং ওয়াটার পার্ক সী ওর্য়াল্ড। অ্যমিউজমট পার্কর রাইডগুলার মধ্যে রয়েছে সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, ফ্যামিলি রালার কাস্টার, ফরিস হুইল, পাইরট শিপ, কফিকাপ, রড ড্রাইস্লাইড, ইয়ালা ড্রাই স্লাাইড, বাগ বাউন্সসহ নানা রকম রাইড ।

লেক ঘুড়ে বেড়ানাের জন্য আছে প্যাডেল বােট, স্পিড বােট, ইঞ্জিন বােট, ওয়াটার বি। খাবার-দাবারর জন্য রেস্টুরেন্ট যেখান পাওয়া যায় দশি-বিদশি নানা রকম মজাদার খাবার। এ্যাডভঞ্চারল্যান্ড রেস্টুরেন্টের ঠিক পাশেই লেক দেখা মিলবে হরেক রকম মাছের খেলা। পাহাড়ের ঠিক উপরেই আছে ফটা কর্ণার যেখান রয়েছে নানা ভঙ্গিতে গড়ে তােলা হরেক প্রাণীর ভাস্কার্য এবং লেকের গা-ঘেঁষেই তৈরি করা হয়েছে সামুদ্রিক প্রাণীর ভাস্কার্য নিয় এ্যাকুয়াটিক জােন। 

ফয়’স লেকের বােট স্টেশন থেকে ইঞ্জিন বােট দশ মিনিটের পথ পেরােলেই দেখা মিলবে দেশের সর্ববহৎ ওয়াটার পার্ক সী-ওর্য়াল্ড। ফয়’স লেকের একপ্রান্তে গড়ে তােলা হয়েছে জেলের এক রােমাঞ্চকর রাজ্য। আনন্দ বিনােদনের সবগুলা উপকরণ এখান বিদ্যমান। জেলের রাজ্যে মজা করার জন্য রামাঞ্চকর সব রাইড নিয়ে গড়া এই জায়গাটি। এখানকার সবচেয়ে আর্কষণীয় রাইড ওয়ভ-পুল যা মূলত একটি কৃত্রিম সমুদ্র সৈকত যেখানে সাগরের ঢেউয়ের মতাে বড় বড় ঢেউ খেলা করে এখানে। টিউবে চড়ে কৃত্রিম সৈকতের ঢেউয়ে ভেসে বেড়ানাে যায় ইচ্ছেমতাে। ওয়ভ-পুলের ঠিক পাশেই  ড্যান্সিং জােন। কৃত্রিম বৃষ্টি আর নানা  রঙের আলাে খেলা চলে এখানে। লমন মাতানাে মিউজিক – এর তালে তালে নেচে উঠে আগত দর্শনার্থীরা। বাচ্চাদের জন্য রয়েছে চিলড্রেন পুল যা সাজানাে উপযােগী অনেকগুলাে রাইড দিয়। পরিবারের সবাইকে নিয়ে মজা করার জন্য আছে ফ্যামিলি পুল। উচু জায়গা থেকে আঁকাবাকা পথ পেরিয়ে পুল ধপাস করে পড়ার মজা পাওয়া যাবে  স্লাইড ওয়ার্ল্ড। অন্যান্য রাইডের মধ্যে আছে মাল্টি স্লাইড, ডাম স্লাইড, প্লে-জােনের মতাে মজার সব রাইড। সারা দিন জলকলি উৎসবে মেতে উঠার জন্য এর মতাে মজার ঝায়গা দ্বিতীয়টি খু্ঁজ পাওয়া কঠিন।

যারা নিরিবিলিতে দিন-রাত এখানে সময় কাটতে চান, তাদের জন্য রয়ছ আবাসন ব্যবস্থা-  ফয়’স লেক রির্সােট ও বাংলাে দু’ভাগ। ওয়াটার পার্ক সী ওয়ার্ল্ড লাগায়া রির্সােট রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাহাড়মুখী ও হ্রদমুখী কক্ষ যেখান থেকে উপভােগ করা যাবে সবুজ ঘেরা পাহাড়। নিরিবিলি পরিবেশ পাহাড়ের কােল  ঘেঁষে খানিকটা নির্জনে গড়ে তােলা হয়েছে বাংলাে। এখানে থাকলে মনে হবে- এ বুঝি কােন এক দ্বীপ। বাংলাের ঝুলন্ত বারাদা থেকে প্রকৃতির ছায়া পাওয়া যায় খুব সহজেই। রির্সােট ও বাংলােয় আগত পর্যটকদের মজাদার খাবার-দাবারের জন্য রয়েছে মান সম্পন্ন রেস্টুরেন্ট যা সব সময় খােলা থাকে খাবার পরিবশনের জন্য।

আমাদের মাঝে আসছ খুশির ঈদ। ঈদের দিনটিকে পরিপূর্ণ করতে সবাই পরিকল্পনা করছে কােথায় যাওয়া যায় কি করা যায়। ঈদে ঘুরে বেড়নাের জন্য চট্টগ্রামবাসীর প্রথম পছন্দ ফয়’স লেকে কমপ্লেক্স কেননা এখানে প্রকৃতির অনাবিল সন্দর্য আর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ভ্রমণ পিপাসু মানুষের কথা মাথায় রেখে সাজানাে হয়েছে পুরাে ফয়’স লেক কমপ্লেক্স।  ঈদর সময় আনদর মাত্রাকে বাড়িয়ে দিত দশ দিন ব্যাপী থাকছে নানা রকম আয়াজন। এরমধ্য উল্লেখযােগ্য হচ্ছে ফয়’স লেকে আগত দর্শনার্থীদর জন্য গেম শাে, বাচ্চাদের জন্য ম্যাজিক শাে, মিউজিক শাে ওয়ার্ল্ডে থাকছে সাতদিন ব্যাপী ডিজে শাে।

আরও পড়ুন