কক্সবাজার প্রতিনিধি »
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অভ্যন্তরীণ দ্বন্ধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপে দফায় দফায় সংঘর্ষে দুইজন রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে কমপক্ষে ১০-১২ জন রোহিঙ্গা।
রোববার (৪ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে উখিয়ার কুতুপালংয়ের ব্লক ডি-৫ এবং ই-ব্লকের মাঝামাঝি স্থানের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- ওই রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ইমাম শরীফ (৩০) ও শামশুল আলম (২৮)। আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদের উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতাল ও রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বিভিন্ন স্বাস্থ্য ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত ৩০ সেপ্টেম্বরও স্থানীয় মুন্না গ্রুপ ও আনাস গ্রুপের মধ্যে অভ্যন্তরিণ দ্বন্ধ নিয়ে বিক্ষিপ্তভাবে একের পর এক সংঘর্ষ চলে আসছিল।
উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বরত ১৪নং এপিবিএনের ইন্সপেক্টর ইয়াছিন ফারুক জানান, নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপের সঙ্গে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মধ্যে অভ্যন্তরিণ দ্বন্ধ ও আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভোররাতে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে দুইজন নিহত হয়েছে। এর আগে ৩০ সেপ্টেম্বর একইভাবে সংঘর্ষে ১৫জনেরও বেশী রোহিঙ্গা আহত হয়েছে।
সত্যতা নিশ্চিত করে উখিয়া থানার ওসি-তদন্ত গাজী সালাহউদ্দিন জানান, সংঘর্ষের খবরে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করে ক্যাম্পে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়া হয়েছে। পুলিশ মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক রোহিঙ্গা জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা নেতা মৌলভী আবু আনাস ও মো. রফিকের নেত্বত্বে মুন্না গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় গুলি বর্ষণ ও হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় কুতুপালং ই-ব্লকের ১০-১৫টি ঝুপড়ী ঘর ভাংচুর করে।এর আগে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা একটি সিএনজিসহ ড্রাইভারকে দিনদুপুরে অপহরণ করে ৪ লাখ টাকা দাবী করে।
উল্লেখ্য, কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে একাধিক সন্ত্রাসী গ্রুপ ক্যাম্পের অভ্যন্তরে মাদক বিকিকিনি, দোকানসহ বিভিন্ন ইস্যুকে কেন্দ্র করে দ্বন্ধ ও আধিপত্য নিয়ে একের পর এক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এতে করে স্থানীয় জনগোষ্ঠি ও সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে।
বাংলাধারা/এফএস/এএ