কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজারের উখিয়ার রাজাপালং ইউপির হাজেমপাড়ার বিভিন্ন দোকানে র্যাব পরিচয়ে চাঁদা দাবিকালে দুইজন ভূয়া র্যাব সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে এ অভিযান চালানো হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া) এএসপি মো. বিল্লাল উদ্দিন।
তাদের ভাড়া বাসায় তল্লাশি করে ২টি ভুয়া র্যাব জ্যাকেট, ১টি পিস্তলের কভার, ১টি রিভলবার সদৃশ লাইটার, ১টি স্টিলের ছোরা এবং তাদের দেহ তল্লাশি করে বিভিন্ন দোকান থেকে চাঁদাবাজিকৃত একুশ’ টাকা ও ২টি মোবাইল সেট জব্দ করা হয়।
আটক দুইজন হলো— পার্বত্য বান্দরবানের লামার রূপসীপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মৃত আবুল কাশেমের ছেলে ফয়েজ উদ্দিন (১৯), নরসিংদীর মাধবদীর নুরালাপুর ইউনিয়নের কান্দাপাড়ার আলগীর বাসিন্দা বর্তমানে মাধবদী পৌরসভার আলগী নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আবদুল জলিলের ছেলে আল আমিন (৩৩)।

তাদের সাথে থাকা সুমন মুন্সি (৩০) নামে একজন পালিয়ে যায়। তিনি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানির রাজপাট ইউনিয়নের রাজপাট এলাকার আকবর আলী মুন্সির ছেলে।
এএসপি মো. বিল্লাল উদ্দিন জানান, কতিপয় ব্যক্তি র্যাব পরিচয় দিয়ে চাঁদা দাবি করছে মর্মে খবর পেয়ে সোমবার (৪ এপ্রিল) দুপুরের দিকে র্যাব-১৫ এর এক আভিযানিক দল স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দুই ব্যক্তিকে (ভুয়া র্যাব সদস্য) আটক করে। স্থানীয় সূত্র জানায়, তারা বেশ কিছুদিন যাবৎ এলিট ফোর্স র্যাবের সদস্য পরিচয়ে বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে জানায়, তাদের ভাড়াবাসায় চাঁদাবাজিতে ব্যবহৃত র্যাব জ্যাকেট, র্যাবের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন মানুষের নিকট হতে আদায়কৃত অর্থ ও অন্যান্য জিনিসপত্র রাখা আছে। পরে ভাড়া বাসায় তল্লাশি করে ২টি ভুয়া র্যাব জ্যাকেট, ১টি পিস্তলের কভার, ১টি রিভলবার সদৃশ লাইটার, ১টি স্টিলের ছোরা এবং তাদের দেহ তল্লাশী করে বিভিন্ন দোকান থেকে নেয়া ২ হাজার একশ টাকা ও ২টি মোবাইল জব্দ করা হয়। তাদের গ্রেফতার কালে সহযোগী সুমন মুন্সি পালিয়ে যায়।
তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন এএসপি বিল্লাল।