কাউছার আলম,পটিয়া »
পটিয়ার ইন্দ্রপুল থেকে কচুয়াই গিরিশ চৌধুরী বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার বাইপাস সড়ক এখন উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সড়কটিতে পুরোদমে যানবাহন চলাচল শুরু হলে সুফল পাবেন দক্ষিণ চট্টগ্রামের যাত্রীরা।
সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালে পটিয়া বাইপাস সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়। ২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে এ সড়কের কাজ শুরু হয়। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৯০ কোটি ৫০ লাখ টাকা। ইতোমধ্যে এ সড়কের কাজ প্রায় শেষ হয়েছে।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ পটিয়া মনসার টেক থেকে দোহাজারী সাঙ্গু সেতু সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পে পটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। কার্যাদেশ দেওয়া হয় ইসলাম ট্রেডিং কনসোর্টিয়াম লিমিটেড (আইটিসিএল) নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে।
পটিয়া ইন্দ্রপুল থেকে গিরিশ চৌধুরী বাজার পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার পটিয়া বাইপাস সড়ক নির্মাণ প্রকল্পটিও সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু তা পরবর্তীতে অদৃশ্য কারণে বন্ধ যায়। স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরীর দৃঢ় প্রচেষ্টায় জমি অধিগ্রহণ পরবর্তী সড়কের সীমানা নির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতা নিরসন হয়।
২০১৬ সালের ১ জুন বাইপাস সড়ক নির্মাণের দরপত্র আহবান করা হলে ঢাকা র্যাব আরসি অ্যান্ড রিলায়েবল বিল্ডার্স নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কার্যাদেশ পায়। এরপর প্রায় ৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়। পরবর্তীতে আরও ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। এছাড়াও জমি অধিগ্রহণের জন্য প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হয়।
সরেজমিনে বাইপাস সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, এ সড়কে ২০টি কালভার্ট ও শ্রীমতি খালের ওপর ১টি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। সড়কটির সঙ্গে অভ্যন্তরীণ ৮টি ছোট সড়কও সংযুক্ত হয়েছে। পরীক্ষামূলক ভাবে এ সড়কে দূরপাল্লার যানবাহনও চলছে।তবে কয়েক মাস আগে এ সড়কে দূর্ঘটনায় পড়ে একজন প্রাণও হারান।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পর্যটন শহর কক্সবাজার, বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের ১০ রুটে চলাচলকারী যানবাহনগুলো যানজটে পড়ছে প্রতিদিনি। পটিয়া পৌর সদর অতিক্রম করতেই আধঘণ্টার বেশি সময় লাগছে। বাইপাস সড়কে পুরোদমে যান চলাচল শুরু হলে ভোগান্তি কমে আসবে।
দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগ পটিয়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সাহাদাত হোসেন জানান , পটিয়া বাইপাস সড়কটির ৯৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ৫ কিলোমিটার সড়কের ৮টি সংযোগ স্থানে মানুষের নিরাপদ পারাপারের জন্য গতিরোধকসহ সড়কের দুইপাশ উঁচু করে দেয়া হয়েছে। এতে সর্বমোট ব্যয় হচ্ছে ৯০ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর