বাংলাধারা ডেস্ক
একটি গবেষণা প্রবন্ধ ব্যবহার করে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক আবদুল হক। পরবর্তীতে অধ্যাপক পদে পদোন্নতির জন্য আবারও একই প্রবন্ধ ব্যবহার করার অভিযোগে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
একই বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহকে প্রধান করে আনা এ অভিযোগগুলো তদন্তের জন্য একটি তদন্ত কমিটিও গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
গত ৩১ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪০তম সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তিন সদস্যের এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
সোমবার (৯ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ খাইরুল ইসলাম।
তদন্ত কমিটিতে চবির ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আহ্বায়ক, অধ্যাপক ড. অঞ্জন কুমার চৌধুরীকে সদস্য এবং আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাসান মোহাম্মদ রোমানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এর আগে ২০২২ সালের ৩১ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বরাবর দেয়া এক চিঠিতে এসব অভিযোগ করেন ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মুহিবুল্লাহ।
চিঠিতে একই বিভাগের শিক্ষক আবদুল হক কর্তৃক গুরুতর একাডেমিক মিসকন্ডাক্টের অভিযোগ তোলা হয়। এর মধ্যে একই গবেষণা প্রবন্ধ দুইবার ব্যবহার করে সহযোগী অধ্যাপক পদে নিয়োগ ও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির আবেদনে গবেষণা প্রকাশনা তালিকায় মারাত্মক জালিয়াতি ও অনিয়মের অভিযোগ তোলা হয়। এছাড়া বিভাগের প্ল্যানিং কমিটি সুপারিশ না করা সত্ত্বেও অধ্যাপক পদে পদোন্নতির বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়।