বাংলাধারা প্রতিবেদন >>
দেশে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাব সত্ত্বেও চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেলের একপ্রান্তের কাজ শেষ হয়েছে। সোমবার (৩ আগস্ট) নিজেদের এক প্রকাশনায় বিষয়টি উল্লেখ করে নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরবিসি)।
প্রতিষ্ঠানটি জানায়, দেশের প্রথম এই টানেল নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (সিসিসিসি) এবং চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি (সিআরবিসি) চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেলের বাম লাইনের নির্মাণকাজ গতকাল (রোববার) শেষ করেছে। এতে প্রকল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের কাজ শেষ হলো।
টানেলটি কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে পূর্ব ও পশ্চিম তীরকে সংযুক্ত করেছে। সুড়ঙ্গের মোট দৈর্ঘ্য ৯.৩ কিলোমিটার। মূল কাঠামো ২৪৫০ মিটার দীর্ঘ। টানেলের ব্যাস ১১.৮ মিটার। এ টানেলে দুটি আলাদা পথে চারটি লেন দিয়ে সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি যাতায়াত করবে।
নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয়েছে নয় হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে প্রকল্প ঋণ হিসেবে চায়না এক্সিম ব্যাংক পাঁচ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার অর্থায়ন করছে। অবশিষ্ট অর্থায়ন বাংলাদেশ সরকারের (জিওবি)।
২০১৬ সালের ১৪ অক্টোবর কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ মেগাপ্রকল্পের যৌথভাবে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
বাংলাধারা/এফএস/টিএম