আনোয়ারায় দুই গ্রামের মাঝখানে পারকি খালের উপরে মানুষের পারাপারে একমাত্র ভরসা একটি কাঠের সাঁকো। কাঠের তেরী এই সাঁকোতে গাড়ি চলাচল করতে না পারায় জৈদ্দারহাট বাজার দিয়ে গাড়ি নিয়ে ঘুরে এসে বাড়ি আসতে তাদের।
উপজেলার বারশত ও রায়পুর দুই ইউনিয়নের দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের পারাপারে নিজেদের অর্থয়নে নির্মাণ করা সাকো দিয়ে চলছেই প্রতিদিন হাজার মানুষের। এই সাঁকো দিয়ে দুই গ্রামের কয়েকশ শিক্ষার্থী প্রতিদিন যাতায়াত করে। এছাড়া সাঁকোর পাশে একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক থাকলেও, বিশেষ করে নারী ও বৃদ্ধদের জন্য এই পারাপার ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়,সাঁকোর পশ্চিম পাশে উত্তর রায়পুর ইউনিয়নের পরুয়াপাড়া এবং পূর্বপাশে বারশত ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রাম রয়েছে।বোয়ালিয়া প্রান্তরে হোছাইনিয়া নতুন মাদ্রাসা রয়েছে।যেখানে দুই গ্রামের কয়েকশত ছাত্র-ছাত্রী সেখানে পাঠদান করে আসছে।বিগত ৪/৫ বছর আগে স্থানীয়রা মিলে দুই গ্রামের মানুষের যাতায়াত সুবিধার জন্য এই সেঁকো তৈরী করেছিল,বছ পর পর সাঁকোটি সংস্কার করতে হয় বলে জানান স্থানীয়রা।সাঁকোর পূর্ব পাশে বোয়ালিয়া ইদগাহের পাশে রয়েছে একটি স্বাস্থ্য ক্লিনিক। উত্তর পরুয়াপাড়া গ্রামের নারীদের চিকিৎসার জন্য একটি পাকা সেতুর প্রয়োজন বলে জানান স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আকতারের কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান,এই সাঁকোর বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো আবেদন এসেছে কিনা জানিনা,আমি খবর নিয়ে সাঁকোটি করার আমাদের ইঞ্জিনিয়ারের সাথে আমি কথা বলে পরিদর্শন করে নির্মাণ করতে কি কি প্রয়োজন তা ব্যবস্থা নিব।
এমএম/এআরই/বাংলাধারা