ksrm-ads

৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ksrm-ads

এনবিআরের মতিউরের আলাদিনের চেরাগ জ্বলে ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম থেকে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য হিসেবে কাস্টম ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করা ড. মতিউর রহমান আলাদিনের চেরাগ পান ২০০৯ সালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে যুগ্ম কমিশনার থাকাকালেই। ‘১৫ লাখ টাকার ছাগল’ কাণ্ডে নেটিজেনরা ড. মতিউর রহমানের সম্পদের উৎস নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন।

খবর নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে থাকাকালীন সময় সুন্দর করে কথা বলে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মন জয় করতেন।ড. মতিউর রহমানের এটি ছিলো বড় গুণ। বিশ্বস্ত বাহিনী দিয়ে কর ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ীদের খুঁজে বের করতেন তিনি। রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ব্যবসায়ী ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরাই তার মূল টার্গেট। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে রাজস্ব ফাঁকিতে সহায়তার জন্য চুক্তি করতেন মতিউর। এরইমধ্যে এক ‘ছাগল কাণ্ডে’ তাঁর গাড়ি, বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি, রিসোর্ট, পার্ক, ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা, কানাডায় আলিশান বাড়ি-গাড়িসহ ড. মতিউর রহমানের আলাদিনের চেরাগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ঘষা দিতেই এত এত সম্পদের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসছে।

জানা গেছে, বাণিজ্য ক্যাডারের ১১তম ব্যাচ পরিবর্তন করে কাস্টমসের ১৩তম ব্যাচে যোগ দেন ড. মতিউর রহমান। নতুন ক্যাডারে যুক্ত হওয়ার পরই প্রভাব-প্রতিপত্তি ও সম্পদ বাড়তে থাকে তার। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে যুগ্ম কমিশনারের দায়িত্বে থাকাকালে শুরু হয় এই উত্থান।

বর্তমানে তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সদস্য হিসেবে কাস্টম ও ভ্যাট আপিলাত ট্রাইব্যুনালের প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করছেন। মাঝে ১৫ বছরে নামে-বেনামে গড়ে তুলেছেন অঢেল সম্পদ। পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউসের অংশীদারিত্ব থেকে শুরু করে বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার, জমি ও বিনোদন পার্ক রয়েছে তার। সন্তানদের নামেও ডজনখানেক কোম্পানির মালিকানা রয়েছে।

মতিউর রহমানের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মুলাদী উপজেলার বাহাদুরপুর গ্রামে। বাবার নাম আলহাজ আব্দুল হাকিম হাওলাদার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্স বিষয়ে অনার্স-মাস্টার্স শেষে এমবিএ করেন মতিউর। ১৯৯০ সালে চাকরি নেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনে। পরে ১৯৯৩ সালে ১১তম বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ‘কাস্টমস ক্যাডার’ হিসেবে যোগ দেন। ২০১৫ সালে কমিশনার হিসেবে পদোন্নতি পান। মতিউর রহমান ব্রাসেলসে বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম কাস্টমসের কমিশনার, ভ্যাট কমিশনারসহ বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেছেন।

২০০৯ সালে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের যুগ্ম কমিশনার থাকাকালেই মূলত মতিউর রহমানের উত্থান। এরপর গুরুত্বপূর্ণ একাধিক জায়গায় তার পদায়ন হয়েছে। সাবেক এক চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন বৃহৎ করদাতা ইউনিট (এলটিইউ) ভ্যাটের কমিশনার হিসেবে। সেই সময় বিভিন্ন কোম্পানিতে ভ্যাট ডিমান্ড করে হয়রানির অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এমন একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের জন্য এনবিআর ও দুদককে নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। তবে রহস্যজনক কারণে বিষয়টি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি।

জানা গেছে, ড. মতিউর রহমানের প্রথম স্ত্রীর নাম লায়লা কানিজ লাকি। বর্তমানে তিনি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার চেয়ারম্যান। মতিউরের এই সংসারে রয়েছে এক মেয়ে ফারজানা রহমান ইসপিতা ও ছেলে তৌফিকুর রহমান অর্ণব। তারা কানাডায় পড়ালেখা করছেন।

মেয়ে ইসপিতা সেখানে ল্যাম্বারগিনি নামে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন, যার অনেক ছবি ভাইরাল হয়। এই গাড়ির দাম প্রায় ৪ লাখ কানাডিয়ান ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি টাকা। আর মুশফিকুর রহমান ইফাত মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে। দ্বিতীয় পক্ষের এই স্ত্রী-সন্তান ধানমন্ডি ৮ নম্বর রোডের একটি ভবনের ৫ তলার আলিশান ফ্ল্যাটে থাকেন। যেখানে তার ছেলে ইফাত লাখ লাখ টাকা দামের পাখি পালন করেন।

দুদকের সূত্র বলেছে, এনবিআরের সদস্য ড. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে কয়েক হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ অনুযায়ী, দেশে একটি গ্রুপ অব কোম্পানিতে দুই হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ এবং কানাডায় বাড়ি, দুবাই, সিঙ্গাপুর ও যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ রয়েছে।

দুদক বলছে, অভিযোগ অনুসন্ধান করে এ পর্যন্ত মতিউর রহমান, তাঁর দুই স্ত্রী ও পরিবারের সদস্যদের নামে ঢাকায় অন্তত ১৫টি ফ্ল্যাট ও তিনটি বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। এগুলোর মধ্যে ধানমন্ডিতে একটি, সেগুনবাগিচায় দুটি, শান্তিনগর টুইন টাওয়ারে একটি, লালমাটিয়ায় একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি-ব্লকে একটি সাততলা বাড়ি, আই-ব্লকে তাঁর যৌথ মালিকানাধীন ডেভেলপার কোম্পানি জেসিক্সের তত্ত্বাবধানে একটি বহুতল ভবনে অংশ আছে।

দুদকের অনুসন্ধানে মতিউর রহমানের মালিকানায় ময়মনসিংহের ভালুকা থানার সিডস্টোর এলাকার পাশেই প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে রয়েছে জুতার ফ্যাক্টরি। এই ফ্যাক্টরির চেয়ারম্যান মতিউর রহমান নিজেই। এই ফ্যাক্টরিতে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০০ শ্রমিক কাজ করেন। এ কারখানায় উৎপাদিত জুতা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রফতানি করা হয়। রাজধানীর নিকেতনের ৮ নম্বর সড়কে গ্লোবাল ম্যাক্সের প্রধান কার্যালয় এবং চাঁদপুরে একটি গরুর খামার পাওয়া গেছে।

রাজধানীর ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৭/এ সড়কের ৩৮৪ নম্বর বাড়িতে স্ত্রীর নামে ৫০১ নম্বর ফ্ল্যাট, একই ব্লকের ১ নম্বর সড়কের ৫১৯ নম্বর হোল্ডিংয়ে ৭ তলা বাড়ি, যার আনুমানিক দাম ৪০ কোটি টাকা। এই বাড়ির দোতলাতেই পরিবার নিয়ে বসবাস করেন মতিউর রহমান।

অভিযোগ রয়েছে, ভাটারা থানাধীন বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় মতিউর রহমান, তার স্ত্রী, পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়স্বজনের নামে রয়েছে ৪০টি প্লট। নরসিংদীর বেলাবতে ৪০ বিঘা জমিতে রয়েছে তার বিলাসবহুল রিসোর্ট। রাজধানীর গুলশান-২ নম্বরে শাহবুদ্দিন পার্কের উল্টোদিকে আনোয়ার ল্যান্ডমার্কের একটি ভবনে চারটি ফ্ল্যাটও আছে তার নামে-বেনামে, যার প্রতিটার দাম প্রায় ৫ কোটি টাকা করে। গুলশানের শান্তা প্রোপার্টিজের একাধিক প্রজেক্টে আছে ৮টি ফ্ল্যাট। তথ্যমতে, মতিউরের একটি ব্যাংক হিসাবে জমা আছে ১১৭ কোটি টাকা।

জেসিএক্স নামে একটি যৌথ মালিকানাধীন ডেভেলপার কোম্পানিও রয়েছে তার। এ প্রতিষ্ঠানের নতুন প্রজেক্ট বসুন্ধরার আই ব্লকের সুবহান অ্যাভিনিউয়ের ৬৫৭ এ ও ৬৫৭ বি নম্বর প্লটে। ৭১৬ নম্বর রোডে ৯-১০ নম্বর প্লটে ১৪ তলা বাণিজ্যিক ভবনেরও কাজ চলছে। গাজীপুর সদর, রাজধানীর খিলগাঁও মৌজায় বিভিন্ন দাগে ৪৭ শতাংশ জমি, সাভার থানার বিলামালিয়া মৌজায় ৮টি খতিয়ানে ৬০ শতাংশ জমি রয়েছে এই রাজস্ব কর্মকর্তার, যার বর্তমান দাম প্রায় ৪০ কোটি টাকা।

মতিউরের স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকির নামে সাভার থানার বিলামালিয়া মৌজায় ১৪ শতাংশ, গাজীপুর সদরের ৪৮ দশমিক ১৬ শতাংশ ও অন্য দাগে ১৪ দশমিক ৫০ শতাংশ জমি রয়েছে। গাজীপুরে ছেলে আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও স্ত্রী লায়লা কানিজের নামে আরো ৪৫ শতাংশ জমির খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া গ্লোবাল সুজ লিমিটেড নামে গাজীপুরেও রয়েছে ৭ খতিয়ানে ৬০ শতাংশ জমি। যার মূল্য প্রায় ৯০ কোটি টাকা।

গাজীপুরের পুবাইলের খিলগাঁও মৌজায় ৪০ বিঘা জমিতে ‘আপন ভুবন পিকনিক অ্যান্ড শুটিং স্পট’ নামে একটি রিসোর্ট করেছেন মতিউর রহমান ও তার স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি। সেখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা দাবি করেন- এখানে তাদের আরো প্রায় ৬০ বিঘা জমি আছে।

মতিউর পরিবারের সদস্যদের অনেকগুলো বিলাসবহুল গাড়ি রয়েছে। সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দুবাই এবং যুক্তরাষ্ট্রেও বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক মতিউর পরিবারের সদস্যরা। মতিউর রহমানের দ্বিতীয় পক্ষের ছেলে ইফাতই ব্যবহার করেন চারটি গাড়ি। যার কোনোটির দাম ১ কোটি, কোনোটির দাম দুই কোটি টাকা। কানাডায় মেয়ে ইসপিতা ল্যাম্বারগিনি নামে বিলাসবহুল গাড়ি ব্যবহার করেন, যার অনেক ছবি এরই মধ্যে ভাইরাল হয়েছে। এই গাড়ির দাম প্রায় ৪ লাখ কানাডিয়ান ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি টাকা।

অবশ্য ড. মতিউর রহমান দাবি, তার সব সম্পদ বৈধ এবং পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ থেকে আসা মুনাফার মাধ্যমে অর্জিত। তবে অনুসন্ধানে তার দুই সন্তান অর্ণব ও ইপসিতার নামে পুঁজিবাজার এবং এর বাইরের প্রায় ডজনখানেক কোম্পানির অংশীদারিত্বের নথিপত্র মিলেছে। এসব নথিপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গাজীপুরের গ্লোবাল সু ও গ্লোবাল ম্যাক্স প্যাকেজিং কোম্পানিতে তার দুই সন্তান অর্ণব ও ইপসিতার মালিকানা রয়েছে। আর পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে এই দুই প্রতিষ্ঠানের নামে কৌশলে প্লেসমেন্ট শেয়ার নিয়েছেন ড. মতিউর রহমান। আর গ্লোবাল ম্যাক্সের মালিকানা রয়েছে পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত কোম্পানি এসকে ট্রিমস ইন্ডাস্ট্রিজে। ব্রোকারেজ প্রতিষ্ঠান শাহজালাল ইক্যুইটিতেও মালিকানা রয়েছে তার। শুধু ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি নয়, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেন নামে পুঁজিবাজারের আরেক কোম্পানিতে ২৭ লাখ ৪৫ হাজার ৫০০ শেয়ার রয়েছে।

মতিউর রহমানের শ্বশুরবাড়ি নরসিংদীতে। সেখানে তিনি অঢেল সম্পত্তি কিনেছেন। তার প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ লাকি আগে সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। এখন চাকরি ছেড়ে রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন। প্রভাবশালী স্বামীর প্রভাবে ২০২৩ সালে অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন লাকি। এর আগে নরসিংদী জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুর্যোগবিষয়ক সম্পাদকের পদ বাগিয়ে নেন।

এবারের ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের সাদিক অ্যাগ্রো ফার্ম থেকে ১৫ লাখ টাকার ছাগল কেনার ছবি পোস্ট করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ‍১৯ বছর বয়সী তরুণ মুশফিকুর রহমান ইফাত।

এই ইফাত যখন আলোচনার কেন্দ্রে, তখন তার বাবা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তা ড. মতিউর রহমানের পরিচয় সামনে আসে। যদিও গণমাধ্যমে ইফাতকে ছেলে হিসেবে অস্বীকার করেন মতিউর রহমান।

এটি নিয়ে আবার নতুন আলোচনা শুরু হয়। এরপর ইফাতের ব্যবহৃত ভাইরাল হওয়া দুটি গাড়ির রেজিস্ট্রেশন তার পারিবারিক মালিকানাধীন কোম্পানি ‘এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও গ্লোবাল ম্যাক্স প্যাকেজিং ইন্ডাস্ট্রিজে’র নামে পাওয়া যায়। এ দুটি প্রতিষ্ঠানের মালিকানায় রয়েছেন মতিউর রহমানের দুই সন্তান তৌফিকুর রহমান অর্ণব ও ফারজানা রহমান ইপসিতা। এই সংযোগের ঘটনায় তাদের সম্পর্কে অনেক কিছু পরিষ্কার হয় যায়। সবমিলে শেষ রক্ষা হলো না মতিউর রহমানের।

আলোচিত ইফাত কাস্টমস কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছেলে বলেই জানিয়েছেন তার আত্মীয় ফেনী-২ আসনের সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী। গণমাধ্যমে তিনি বলেছেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুশফিকুর রহমান ইফাতের ছবি তিনি দেখেছেন। এটা তার মামাতো বোনের ছেলে। আর তার বাবা এনবিআর সদস্য ড. মতিউর রহমান। আর মতিউর রহমান তার বোনকে সামাজিক মর্যাদা দেন এবং বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থিত হয়েছেন। মতিউর রহমান হয়তো রাগ করে ছেলেকে অস্বীকার করতে পারেন।

এদিকে গত ৪ জুন দুদকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মইনউদ্দীন আবদুল্লাহর সভাপতিত্বে কমিশন সভায় এনবিআর সদস্য (শুল্ক ও আবগারি) ড. মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। সূত্র জানায়, দুদকের মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) মো. মোকাম্মেল হক অভিযোগ তুললে অনুসন্ধানে একটি দল গঠন করতে বলা হয়।

এর আগে ২০০৪, ২০০৮, ২০১৩ ও ২০২১ সালে মোট চারবার মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করে দুদক। কিন্তু নথিভুক্তির মাধ্যমে এসব অনুসন্ধানের পরিসমাপ্তি ঘোষণা করে দুদক। এর অর্থ হলো—অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি। পরে মতিউর রহমানকে নিয়ে কমিশন থেমে যায়।

এসব বিষয়ে জানতে রাজস্ব কর্মকর্তা ড. মতিউর রহমানের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

আরও পড়ুন

এ সম্পর্কিত আরও

সর্বশেষ