কক্সবাজারের ঈদগাঁও বাস স্টেশন থেকে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ও অবৈধ জন্ম সনদসহ এক রোহিঙ্গাকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বাসের জন্য অপেক্ষারত রোহিঙ্গাকে গোপন সংবাদে আটক করা হয়। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) মামলা দায়েরের পর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হালিম।
আটক আব্দু শুক্কুর বিন দিল (৪০) কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২ ইস্টের বাসিন্দা দিল মোহাম্মদও ছলেমা খাতুনের সন্তান। তবে, তিনি রামুর পাহাড় বেষ্টিত কচ্ছপিয়া ইউনিয়ন পরিষদের মৌলভীরকাটা এলাকার বাসিন্দা হিসেবে জন্ম নিবন্ধন ও পাসপোর্ট সংগ্রহ করে বিদেশপাড়ি দেয়ার প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন।
ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আব্দুল হালিম বলেন, সোমবার সারাদেশে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডব চলেছে। ঈদগাঁওতেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। কিন্তু এরই মাঝে গোপন সংবাদে খবর আসে অবৈধ পন্থায় বাংলাদেশী পাসপোর্ট সংগ্রহ করে এক রোহিঙ্গা প্রবাসে যেতে চট্টগ্রাম বা ঢাকায় যাবার জন্য ঈদগাঁও বাসস্ট্যান্ডে অবস্থান করছেন। এমন খবরে পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন)’র সার্বিক তত্ত্বাবধানে আমার (ওসির) নেতৃত্বে ঈদগাঁও থানার এসআই কাজী গোলাম মহিউদ্দিন, শফিকুল ইসলাম, এ এস আই আব্দুর রশিদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ আনুমিয়া সিকদার ফিলিং স্টেশনের সামনে হতে আব্দু শুক্কুর বিন দিলকে আটক করা হয়। এসময় তার কাছ হতে বাংলাদেশী পাসপোর্ট ও জন্ম সনদসহ জব্দ করা হয়।
ওসি আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে শুক্কুর জানায়, গত ২০০৮ সালে তিনি নদী পথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া গমন করেছিল। মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফেরত এসে আসার আগে একটি চক্রের মাধ্যমে রোহিঙ্গা পরিচয় গোপন রেখে ভুয়া ঠিকানা ব্যবহার করে জন্ম সনদ ও পাসপোর্ট তৈরি করেছেন। তা দিয়ে দেশে ফেরত আসেন। মা, বাবা ভাই-বোনসহ তার পরিবারের ৬ সদস্য উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। শুধু মাত্র শুক্কুর ক্যাম্পের বাইরে অবস্থান করছেন। এ ব্যাপারে তার বিরুদ্ধে ঈদগাঁও থানায় মামলা (নং-১১/২০২২) রুজু করে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। মামলায় তাকে পাসপোর্ট ও জন্ম নিবন্ধন পেতে সহায়তাকারী সকলকেই সহযোগী আসামি করা হয়েছে। তাদের সনাক্ত ও আইনের আওতায় আনার কাজ চলছে।