আন্তর্জাতিক ডেস্ক »
সম্প্রতি আজারবাইজানের বিজয়োৎসবে যোগ দিয়ে একটি কবিতা পড়ার পর বিতর্কের মুখে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এ নিয়ে ইরান এবং তুরস্কের মধ্যে বাকযুদ্ধ শুরু হয়েছে। খবর ডয়েচে ভেলে.।
ইরানের দাবি করছে, আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এরদোয়ান। অন্যদিকে, তুরস্কের বক্তব্য – তাদের প্রেসিডেন্টকে অন্যায় ভাবে আক্রমণ করছে ইরান।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (১০ ডিসেম্বর) আজারবাইজানের রাজধানী বাকু সফরে গিয়েছিলেন এরদোয়ান। আর্মেনিয়ার সঙ্গে নাগরনো-কারাবাখ নিয়ে যুদ্ধ হয়েছে আজারবাইজানের। যুদ্ধে লাভবান হয়েছে আজারবাইজান। তারই প্রেক্ষিতে বিজয়োৎসবের আয়োজন করেছিল আজারবাইজান। সেই উৎসবে ডাকা হয়েছিল দেশের বন্ধু তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ানকে।

এদিকে, তুরস্কের প্রেসিডেন্ট সেই উৎসবে যোগ দিয়ে একটি কবিতা আবৃত্তি করেন। যেখানে, সমস্ত তুর্কির এক হওয়ার কথা বলা হয়েছে। কবিতায় বলা হয়েছে, আরাস নদীতে পাথর ফেলে তুর্কি জনগণকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছে। এই আরাস নদীই আজারবাইজান এবং ইরানের মাঝে সীমান্ত তৈরি করেছে।
ইরানে বিপুল পরিমাণ তুর্কি বসবাস করেন। ইরানের দাবি, ওই কবিতা আবৃত্তি করে ইরানের তুর্কিদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবাদ উসকে দিয়েছেন এরদোয়ান। পাশাপাশি, তার ওই কবিতার মাধ্যমে আজারবাইজানের সার্বভৌমত্ব নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ২০০ বছর আগে যে সীমান্ত চুক্তি হয়েছিল এরদোয়ানের কবিতা সেই চুক্তিকেও প্রশ্নের মুখে ফেলে দেয় বলে ইরানের বক্তব্য।
Pres. Erdogan was not informed that what he ill-recited in Baku refers to the forcible separation of areas north of Aras from Iranian motherland
— Javad Zarif (@JZarif) December 11, 2020
Didn't he realize that he was undermining the sovereignty of the Republic of Azerbaijan?
NO ONE can talk about OUR beloved Azerbaijan
এ ব্যাপারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ এক টুইটার বার্তায় এরদোয়ানের সমালোচনা করেছেন এবং ইরানে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূতকে ডেকেও আপত্তি জানানো হয়েছে।
অন্যদিকে, তুরস্ক অবশ্য ইরানের আপত্তির কড়া জবাব দিয়েছে। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এরদোয়ান জানতেন না সামান্য একটি কবিতা এই ধরনের বিতর্কের কারণ হবে। শুধু তাই নয়, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য, যে ভাষায় ইরান তাকে আক্রমণ করেছেন তা অনভিপ্রেত। ইরান যেন তাদের বক্তব্য পুনর্বিবেচনা করে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর