বাংলাধারা প্রতিবেদন »
মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে অন্য পরীক্ষার্থীর হয়ে পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিয়োগ পরীক্ষা দিতে এস আটক হয়েছে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী। নগরীর
ওমরগণি এমইএস কলেজ ও দামপাড়ায় সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজ পরীক্ষা হল থেকে তাদের আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, মোহাম্মদ জাহিদ হোসেন (২৭) এবং মো. শাহ আলম (২৬)। এদের মধ্যে জাহিদকে সোমবার (১৭ জুন) এবং শাহ আলমকে রোববার আটক করেছে খুলশী থানা পুলিশ।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী জানিয়েছেন, জাহিদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) হিসাববিজ্ঞান বিভাগ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়েছে। ঢাবি’র জসীম উদ্দিন হলের ৩৩২ নম্বর কক্ষের আবাসিক ছাত্র সে। আর শাহ আলম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের মাস্টার্সের ছাত্র।
গতকাল রোববার (১৬ জুন) থেকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) শুরু হয়েছে তিনদিনের উপ-পরিদর্শক নিয়োগের পরীক্ষা।
পুলিশ জানায়, সোমবার (১৭ জুন) নগরীর ওমরগণি এমইএস কলেজে মো. ছালেহ্ উদ্দিন নামে এক পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষায় বসেছিল জাহিদ। প্রথমদিন নকল পরীক্ষার্থী আটকের পর দ্বিতীয়দিন সতর্ক অবস্থায় ছিলেন দায়িত্বরতরা। একইভাবে পরিচয়পত্র মেলাতে গিয়ে জাহিদও ধরা পড়লে তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
এর আগে, রোববার (১৬জুন) দামপাড়া পুলিশ লাইনের সিএমপি স্কুল অ্যান্ড কলেজে মো. নাঈম উদ্দিন হোসেন নামে এক পরীক্ষার্থীর হয়ে পরীক্ষা দিচ্ছিল শাহ আলম। হল পরিদর্শকের সন্দেহ হলে পরিচয়পত্রের সঙ্গে মেলাতে গিয়ে প্রক্সি দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়লে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ওসি প্রণব চৌধুরী জানান, শাহ আলমের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। সে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার আবু আহমেদের ছেলে নাঈম উদ্দিন হোসেনের হয়ে প্রক্সি দিতে ২০ হাজার টাকার চুক্তি করেছিল। পরীক্ষা শেষ হলে নাঈম শাহ আলমকে এই টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
তিনি আরো বলেন, জাহিদ হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর জেলায়। সে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য আসল পরীক্ষার্থী ছালেহ উদ্দিনের কাছ থেকে অগ্রিম এক লাখ টাকা নিয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে।
এসব ঘটনায় পৃথক মামলা দায়ের করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ওসি।
বাংলাধারা/এফএস/এমআর