বাংলাধারা ডেস্ক »
করোনা পরিস্থিতিতে ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল চালু হতে দেরি হওয়ায় ভিসার আবেদন করতে না পেরে বিপাকে পড়েছে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা। শুধু শিক্ষার্থীরা নয় রোগীরাও রয়েছে বিপাকে। ভারত সরকার মেডিকেল ভিসা চালু করলেও এয়ার বাবল চালু না হওয়ায় রোগীরা চিকিৎসার জন্য সড়কপথে ভারত যেতে কষ্টের সম্মুখীন হচ্ছে।
সূত্র জানায়, বেলজিয়াম, এস্তেনিয়া, লাটভিয়া, ফিনল্যান্ডসহ ইউরোপসহ বিভিন্ন মহাদেশের অনেকগুলো দেশের ভিসা কনস্যুলার পরিসেবা ঢাকায় নেই। ফলে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদেরকে সেসব দেশে ভিসা আবেদন করার জন্য ভারতের নয়া দিল্লিতে যেতে হয়। কিন্তু করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল বন্ধ। ফলে উচ্চতর শিক্ষার জন্য বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা ভিসার আবেদন করতে পারছে না।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা আগস্টের শেষের দিকে তার বাংলাদেশ সফরের সময় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী এবং চিকিৎসাসেবা প্রার্থীদের ভারত যাওয়ার অনুমতি দিতে দুই প্রতিবেশি দেশের মদ্যে একটি এয়ার বাবল স্থাপনের প্রস্তাব করেছিলেন। বাংলাদেশ সরকার প্রথমে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানালেও ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল প্রতিষ্ঠার বিষয়টি এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি।
ইতোমধ্যে ভারতীয় হাইকমিশন টুইটার পাতায় বিদেশে পড়াশুনা করার জন্য আবেদন করতে ভারতের ভ্রমণ ভিসা চালু করার অনুরোধ জানিয়েছেন বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরা। শুধু তাই নয় চিকিৎসা সেবা নিতে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বিমানগুলো চালু করারও অনুরোধ করেছেন অনেকে।
গত ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আবদুল মোমেন এবং ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সভাপতিত্বে দুইদেশের যেওথ পরামর্শক কমিটির ভার্সুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রতিবেশি ভারতে বাংলাদেশি পণ্যের জন্য শুল্কবিহীন বাধা, তিস্তার পানিবন্টন চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট সমাধানের সন্ধানসহ বেশ কয়েকটি অমিমাংসিত বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে দুই দেশের মদ্যে এয়ার বাবল প্রতিষ্ঠার বিষয়ে সামান্য অগ্রগতি হয়েছিল। যদিও উভয় দেশের মধ্যে পন্য পরিবহন ও স্থর যোগাযোগের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। কিন্তু উচ্চশিক্ষা ও ব্যবসায়িক কারণে যারা ভারত ও বাংলাদেশে যাতায়ত করতে চান তারা এখনো তা করতে পারছে না।
ভারত ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, মালদ্বীপ, কানাডা এবং জার্মানিসহ ১৫টিরও অধিক দেশের সঙ্গে এয়ার বাবল কার্যকর করেছে। এমনকি জাপান যারা আন্তর্জাতিকভাবে এই জাতীয় দ্বিপাক্ষিক ব্যবস্থা করার ক্ষেত্রে বিশেষভাবে রক্ষণশীল হিসেবে পরিচিত তারাও ভারতের সঙ্গে এয়ার বাবল কার্যকর করেছে। উড্ডয়নের আগে এবং অবতরণের পর কঠোর পরীক্ষার কারণেই অনেক দেশ এই জাতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থী যারা ভারতের উচ্চ শিক্ষা অর্জন করছে বা যারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জন করার জন্য যেতে চাচ্ছে তাদের জন্য এয়ার বাবল প্রতিষ্ঠা করা জরুরি হয়ে পড়েছে। শুধু তাই নয় বিশেষ চিকিৎসা নিতে যারা ভারত যেতে চান তাদের জন্যও এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাধারা/এফএস/এএ