বাংলাধারা প্রতিবেদন »
সুলতানা হীরা ওরফে সোনিয়া। বয়স ২৫। এরই মধ্যে তার বিরুদ্ধে একটি হত্যাসহ তিনটি মামলা। এতেই অনুমান করা যায় সোনিয়া কতটা ভয়ংকর অপরাধী।
সোনিয়ার আরও একটি ভয়ংকর অপরাধ প্রতারণা। প্রথমে প্রেমের অভিনয়, তারপর ফাঁদ পেতে নিয়ে আসেন নিজের ঘরে। এরপর ঘরের মধ্যেই অশ্লীল ছবি তুলে আদায় করে নেন মোটা অংকের টাকা।
বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) রাতে এক আইনজীবীকে উদ্ধার করতে গিয়ে ওই চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার দুই প্রতারক হলেন— জোবাইদা সুলতানা হীরা ওরফে সোনিয়া (২৫) ও তার সহযোগী ইমরান (২৭)।
এদের মধ্যে সোনিয়ার বিরুদ্ধে একটি হত্যাসহ তিনটি মামলা এবং সহযোগী ইমরানেরও তিন মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, হাবিব নামে এক আইনজীবীকে মামলার বিষয়ে কথা আছে জানিয়ে নগরের আগ্রাবাদ চৌমুহনী দেখা করে সোনিয়া। একপর্যায়ে সেখান থেকে মৌলভীপাড়ায় সোনিয়ার বাসায় যেতে বলেন। অ্যাডভোকেট হাবিবও তার কথায় বাসায় যান। বাসায় যেতেই আরও তিন যুবক তাকে আটক করে ফেলে। তারা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে দাবি করেন ২০ হাজার টাকা। তবে আইনজীবী কৌশলে থানায় ফোন করেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে এক সহযোগীসহ সোনিয়াকে গ্রেপ্তার করা গেলেও বাকি দুইজন পালিয়ে যায়।
পুলিশ আরও জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোনিয়া গত ১০ বছরে কমপক্ষে ৫০টি জিম্মির ঘটনা ঘটিয়েছে জানায়।
ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘গ্রেপ্তার সোনিয়া সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের প্রধান। তার গ্রুপে আরও চারজন ছেলে আছে। সোনিয়া প্রেমের অভিনয় করে ছেলেদের নিজ ঘরে নিয়ে আসে। এরপর চক্রের বাকি সদস্যরা অশ্লীল ছবি তুলে জিম্মি করে টাকা আদায় করে। যারা ছবি দেখেও টাকা দেয়না তাদের মারধর করে, এমনকি প্রাণনাশেরও হুমকি দেয়। তাদের হাতে এভাবে জিম্মি অবস্থায় ২০১৩ সালে একজন মারা যায়।’
বাংলাধারা/এফএস/এআই