ksrm-ads

২৫ মার্চ ২০২৫

ksrm-ads

কক্সবাজারের মানুষ প্রতিনিয়ত ভূমিহীন হচ্ছে

জেলা প্রতিনিধি, কক্সবাজার »

কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনের সাংসদ আশেকুল্লাহ রফিক বলেছেন, কক্সবাজার জেলাটি সাগর-পাহাড় নিয়ে গঠিত। তাই জেলায় ভূমি ব্যবহার বিষয়ে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নেওয়া জরুরী। জীবন জীবিকা ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে কক্সবাজারের মানুষ প্রতিনিয়ত ভূমিহীন হচ্ছে। এছাড়াও খাস জমি গুলো সরকারের বিভিন্ন বড় বড় প্রজেক্টের জন্য নেয়া হচ্ছে। দেশের বড় বড় কোম্পানী গুলোও জমি ক্রয় করে নিচ্ছেন। এতে আমরা প্রতিনিয়তই ভূমিহীন হয়ে পড়ছি।

সোমবার (৩ অক্টোবর) সকালে বিশ্ব বসতি দিবস উপলক্ষে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষর (কউক) মাল্টিপারফাস হলরুমে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, কক্সবাজারের মানুষ যেহারে প্রতিনিয়ত ভূমি হারাচ্ছে এতে করে তারা যেকোন সময় বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। তাই একটি মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে সকলের জন্য বসতি নিশ্চিত করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী মুজিব বর্ষে ভূমিহীনদের আবাসন নিশ্চিত করার ঘোষণা দিয়েছেন। বিশ্ব বসতি দিবসের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীর নজরে রাখতে হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কউক চেয়ারম্যান কমোডোর মো. নুরুল আবছার বলেন, কক্সবাজারকে একটি পরিকল্পিত শহর হিসেবে গড়ে তুলতে কউক একটি মহাপরিকল্পনার গ্রহণ করেছে। কক্সবাজারের কোন ভূমি অপরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, কক্সবাজারে প্রায় ১ দশমিক ২০ মিলিয়ন রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়ায় এখানকার জনসংখ্যার ঘনত্ব জাতীয় গড়ের প্রায় ৩/৪ গুণ। এ কারণে এখানে বিভিন্ন জায়গায় অপরিকল্পিত আবাসন গড়ে উঠেছে ও এগুলো বর্ণিত বৈষম্যের সৃষ্টি করেছে এবং প্রাকৃতিক ইকো-সিস্টেমে একটি বিরাট চাপ সৃষ্টি করছে। এ কারণে কক্সবাজার বাংলদেশের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ উপকূলীয় শহরগুলির মধ্যে একটি। তাই চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবেলা করার এবং স্থানীয় উপায়গুলি যাচাই করার মাধ্যমে এই অঞ্চল কার্যকরভাবে জলবায়ু সমাধানে অবদান রাখতে পারে।

কউক চেয়ারম্যান আরও বলেন, কক্সবাজারে স্থানীয় সরকার, বিশেষ করে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বিশ্ব বসতি দিবসের উদ্দেশ্য পূরণ এবং সঠিক প্রতিফলন নিশ্চিত করার একটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করতে পারে।

আলোচনা সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান এবং বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন