কক্সবাজারে ক্ষতবিক্ষত ভবনে পুলিশের কার্যক্রম শুরুর চেষ্টা
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেরে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে ৫ আগস্ট। এদিন বিকেলে আনন্দ মিছিলের পাশাপাশি দুর্বৃত্তরা সরকারি বেসরকারি নানা ভবনে লুটপাট চালায়। সেই হামলায় আক্রান্ত হয় কক্সবাজার সদর থানা কার্যালয় ও কম্পাউন্ড। লুট করে নিয়ে যাওয়া হয় থানা কম্পাউন্ডে থাকা কয়েকশ মোটর সাইকেল, পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার্য্য ও প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি। ভেঙ্গে ক্ষতবিক্ষত করা হয় ভবনের জানালার গ্লাসসহ সিসিটিভি ও অন্যান্য বিদ্যুত সংযোগও। এরপর হতে অঘোষিতভাবে বন্ধ হয়ে যায় কক্সবাজার সদর থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম।
তবে, পরেরদিন হতে সেনাবাহিনীর টহলটিম থানার নিরাপত্তা নিশ্চিতে পাহারা বসায়। এরই মাঝে ৮ আগস্ট রাতে অন্তবর্তীকালীন সরকার শপথ গ্রহণ করেছে। এরপর শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে থানায় বন্ধ থাকা কার্যক্রম সচল করার চেষ্টা চালিয়েছে সেনাবাহিনী।
কক্সবাজারে মাঠে দায়িত্বে থাকা সেনাকর্মকর্তা লে. কর্ণেল তানভীর হোসেন থানা কম্পাউন্ডে গণমাধ্যমকে ব্রিফিংকালে বলেছেন, আইনী সেবা পেতে আগের মতো সাধারণ জনগণ কক্সবাজার মডেল থানায় আসতে পারবেন। অনাকাঙ্খিত কারণে গত ৫ আহস্ট হতে বন্ধ থাকা কার্যক্রম আমরা সচল করতে চেষ্টা করছি। এখন থেকে মানুষ থানায় সেবা পাবেন। পুলিশ, আনসার এবং সেনা বাহিনীর সদস্যরা সমন্বিত ভাবে থানায় দায়িত্ব পালন করছেন।
সেবা কার্যক্রম চালুর বিষয়ে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাকিবুজ্জামান বলেন, থানা ভবন আক্রান্ত হবার সময় হতে আমরা থানা এলাকাতেই রয়েছি। তবে, থানার অবকাঠামো চরমভাবে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। কার্যক্রমের প্রয়োজনীয় কোন কিছুই অবশিষ্ট নেই। আমার যেসব সহকর্মী আক্রান্ত ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তারা এখনো কাজে আসতে সাচ্ছন্দ্য পাচ্ছেন না। সেবা দেয়ার উপযোগী পরিবেশ তৈরী হলে, আমরা আগের মতো সচল হবো।
এদিকে, ট্রাফিক পুলিশহীন কক্সবাজার জেলা শহরে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যানযট নিরসনে স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজ করছেন। সকাল হতে রাস্তার শৃংখলায় কাজ করা কয়েকশ শিক্ষার্থীদের দুপুরের খাবার ও নানা সময়ে পানি বিতরণ করেছেন জেলা ছাত্রদল নেতা সাইফুর রহমান নয়ন, তকী ইয়াছিনসহ একদল ছাত্র নেতা ও পেশাজীবীরা।