কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি শাহ রিয়ার মুরাদকে ছুরিকাঘাত ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তার বড় ভাই এনজিও কর্মী মামুনকেও হামলা করে গুরুত্বতর আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। সোমবার (৬ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বাহারছড়ার শামলাপুর বাজারে হাজি নুর আহমদ মার্কেট পিছনে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত শাহ রিয়ার মুরাদ ও আহত মোহাম্মদ মামুন টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর বাজারের মো. সাইফুল ইসলাম কোম্পানির ছেলে। সাইফুল ইসলাম বাহারছড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন।
শামলাপুর বাজারে ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সোমবার সন্ধ্যার দিকে শামলাপুর বাজারে হাজি নুর আহমদ মার্কেটের পিছনে চিৎকার শোনা যাচ্ছে। গিয়ে দেখি শামলাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি শাহরিয়ার মুরাদ ও তার বড় ভাই এনজিও কর্মী মো. মামুন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে শাহরিয়ার মুরাদের মৃত্যু হয়। মামুন শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্মক জখম পেয়েছে।বর্তমানে সে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি। শাহরিয়ার মুরাদের মরদেহ মর্গে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, উখিয়ার জালিয়া পালং ৯ নম্বর ওয়ার্ড মনখালির বাসিন্দা অলিউল্লাহর ছেলে রফিক উল্লাহ (২১) ও একই গ্রামের জকির আহমেদের ছেলে মো. আদিল (২২) ও রাকিবদের (২৩) নেতৃত্বে পরিকল্পিত ভাবে শাহরিয়ার মুরাদ ও মামুনের ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে জেনেছি।
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ওসমান গনি বলেন, প্রাথমিকভাবে জানাগেছে নিহত শাহরিয়ারে সাথে অভিযুক্ত ব্যক্তির মোবাইলে ছবি আদান-প্রদানকে কেন্দ্র করে পূর্ব শত্রুতা ছিলো। উক্ত শত্রুতার জেরে তাদের মধ্যে পূর্বেও একাধিকবার মারামারি হয়েছে। সোমবার বিকালে অভিযুক্তরা শামলাপুর বাজারে গেলে তাদের মধ্যে পুনরায় মারামারি বাঁধে।
মারামারির এক পর্যায়ে অভিযুক্ত রফিক উল্লাহ ও রাকিব নিহত শাহরিয়ার মুরাদের গলায় ছুরিকাঘাত করে বলে জানা গেছে।
কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আশিকুর রহমান বলেন, রাতে দু’তরুণকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। এদের মাঝে একজন আগেই মারা গেছেন। অপরজনকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।