ksrm-ads

২০ এপ্রিল ২০২৫

ksrm-ads

কক্সবাজারে ডাকাত প্রবণ এলাকায় বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের দাবি

কক্সবাজার প্রতিবেদন »

কক্সবাজার সদরের ঈদগাঁও-ঈদগড়-বাইশারী সড়কের হিমছড়ি ঢালাসহ ডাকাতপ্রবণ এলাকায় বিজিবি ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছে ডাকাতের গুলি ও কোপে নিহত শিক্ষার্থী জনি রাজের সহপাঠীরা। শিল্পী জনি দে রাজের খুনিদের শনাক্ত করে ২৪ ঘন্টায় গ্রেফতার দাবিও জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে রামুর পাহাড়ি জনপদ ঈদগড়ের ঈদগড় এএমবি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাক্তন ছাত্র সংসদের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন থেকে এ দাবী জানানো হয়েছে।ডাকাতের বর্বরতায় জনি রাজ হত্যার প্রতিবাদে বিকেলে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ছাত্র সংসদের সকল সদস্য ও সাধারণ জনতা অংশ নেয়।

ঈদগড় বাজারের চৌমুহনীতে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন ঈদগড় এ এম বি উচ্চ বিদ্যালায় প্রাক্তন ছাত্র সংসদের সভাপতি নুরুল আবছার, সাধারণ সম্পাদক শাহা মোহাম্মদ তৌহিদ ইসলাম, কক্সবাজার সিটি কলেজের প্রভাষক মোহাম্মদ ইউছুপ নবী, ঈদগাঁও ডিগ্রি কলেজ প্রভাষক মো. ছলিম উল্লাহ, ঢাবির আইন বিভাগের ছাত্র মহিউদ্দিন, ঈদগড় এ এম বি উচ্চ বিদ্যালয় শিক্ষক বিষু মোহন দেব।

সভায় বক্তারা বলেন, কক্সবাজারের রামু ঈদগড় ও নাইক্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন পাহাড় বেষ্টিত সমতল এলাকা হলেও সন্ধ্যার পর থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে। পাহাড়ের পাদদেশ লাগোয়া সড়ক দিয়ে যাতায়াত কালে ডাকাতের আক্রমণের স্বীকার হতে হয় সব পেশার মানুষকে। অপহরণের শিকার হয়েছে অনেক মানুষ। ডাকাতের গুলিতে হত্যার শিকার হয়েছে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি পুলিশও। সন্ধ্যার পর থেকে সকাল পর্যন্ত জরুরি প্রয়োজনেও অনেক সময় যাতায়াত করা যায় না। ঝুঁকি নিয়ে যেতে গেলে জনি রাজের মতোই পরিস্থিতির শিকার হতে হয়। এভাবে বেঁচে থাকা যায় না।

তারা বলেন, সমতল এলাকায় বসবাস হলেও বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো সন্ধ্যা থেকে সকাল পর্যন্ত অসহায়ের মতো যাতায়াত বিচ্ছিন্ন থাকা পরাধীনতায় বাস করার মতো। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এ পরিস্থিতি পাল্টানো দরকার। সড়কের ঢালা ও কক্সবাজারের ডাকাত প্রবণ এলাকায় বিজিবি বা পুুুলিশ ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ২৪ ঘন্টার ভেতর জনি রাজের হত্যাকারিকে সনাক্ত করে গ্রেফতারের দাবিও জানান তারা।

সমাবেশে যুবলীগ সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনির, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কায়েস, রূপসী বাংলা সংগঠন সভাপতি সোলতান মো কাউছার, সাংবাদিক কামাল শিশির, জাফর আলম, আরমান, ঈদগড় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক শহিদুল ইসলাম, ব্যবসায়ী আহসান উল্লাহ, নুরুল হুদা, গিয়াস উদদীনসহ ছাত্র, শিক্ষক, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ সর্বশ্রেণী পেশার লোকজন স্বতঃস্ফূর্ত অংশ গ্রহণ করে।

বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে ‘হিমছড়ি ঢালা’ নামক স্থানে জনি দে রাজকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। চট্টগ্রামের পটিয়ায় তিনদিন অনুষ্ঠান শেষে ভোরে ঈদগাঁও পৌঁছান জনি রাজ ও তার বাবা। পরে সিএনজিতে করে বাড়ি ফেরার পথে অনাকাঙ্খিত এ হত্যাকাণ্ডটি ঘটে।

জনি দে রাজ রামুর ঈদগড় চরপাড়া এলাকার তপন দের ছেলে এবং ঈদগাঁও ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বাংলাধারা/এফএস/এএ

আরও পড়ুন