দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারে চারটি আসন থেকে তিনজন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে তারা নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এরআগে ৩ ও ৪ ডিসেম্বর যাচাই-বাছাই শেষে ২৫ জনের মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করেছিলেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহম্মদ শাহীন ইমরান।
মনোনয়ন প্রত্যাহারকারিরা হলেন, কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনের জাতিয় পার্টি (জেপি)র প্রার্থী সালাউদ্দিন মাহমুদ, একই আসনের কল্যাণ পার্টির মহাসচিব আবদুল আউয়াল মামুন এবং কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াস।
তবে কক্সবাজার-১ আসনে ঋণখেলাপির অভিযোগে আওয়ামী লীগ মনোনীত সালাউদ্দিন আহমেদ সিআইপি’র মনোনয়ন বাতিল হওয়ায় নতুন করে হিসেবে নিকেশ করতে হচ্ছে কক্সবাজার-১ আসনের ভোটারদের। আসনটিতে স্বতন্ত্রপ্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের সাথে তিব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে কল্যান পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের। গত পাঁচ বছর সংসদ সদস্য জাফর আলম উন্নয়ন করলেও তার বিরোধী লোকজন তার বিরুদ্ধাচরণ করছে।তারা এবার কল্যাণ পার্টিকে জেতাতে কাজ করার উদ্যোগ নিচ্ছে। তবে, সুষ্ঠু ভোট হলে জাফরের জয় সুনিশ্চিত বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।
কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুদিয়া) আসনে জাকের পার্টির মোহাম্মদ ইলিয়াছ মনোনয়ন প্রত্যাহার করলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন আরো ছয়জন প্রার্থী। তবে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আশেক উল্লাহর সাথে উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) এর মো. শরিফ বাদশার।
কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের জনপ্রিয়তা এবং কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনে স্বামীর জনপ্রিয়তাকে পূঁজি করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য শাহিন আকতারও হেসে খেলে জয় পাবেন বলে ধারণা করছেন উখিয়া-টেকনাফবাসী।
