৬৭ বছরের ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ ও নতুন চ্যাম্পিয়নের প্রত্যয়ে কক্সবাজারের ডিসি কর্তৃক আয়োজিত বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার ৬৮ তম আসর বসছে ১৯ ও ২০ মে। বলীখেলার পাশাপাশি নাগরদোলা, হস্তশিল্প, কুটির শিল্প, তাঁত শিল্প, বস্ত্র শিল্প, মৃৎ শিল্প ও দেশীয় সাংস্কৃতির নানা পণ্যের সমাহারে জমানো হবে বৈশাখী মেলা। শুক্রবার বেলা ২টায় জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ শাহীন ইমরান বলী খেলার উদ্বোধন করবেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে ডিএসএ’র হল রুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা উদযাপন পরিষদের সম্পাদক অধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন এসব তথ্য জানান।
তিনি জানান, জেলা ক্রীড়া সংস্থা (ডিএসএ) আয়োজিত বলীখেলা ও বৈশাখী মেলার এবারের আসর বসবে কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম ও আশপাশের এলাকায়। প্রতি বছর বৈশাখের প্রথম সপ্তাহে ডিসির বলী খেলা সম্পন্ন হয়। এবার বৈশাখের শুরু রমজানে হয়েছে। পরে ঘূর্ণিঝড়সহ নানা কারণে দিনক্ষণ পিছিয়েছে। এবারে ঢাকার কোন কুস্তিগীর বা নারীবলীও দাওয়াত করা হয়নি। কক্সবাজার তথা দেশের সেরা বলীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করণের চেষ্টা চলছে। ঢোলের তালে কক্সবাজারের সাবেক নামকরা বলীদের মনোমুগ্ধকর নাচ-দলগত নৃত্য বলী খেলায় উপস্থিত হাজারো দর্শকদের মোহবিষ্ট করে রাখবে। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি আমরা।
সংবাদ সম্মেলনে মেলা উদযাপন পরিষদ আহবায়ক কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, এবার কোন স্পন্সর নেই। ডিএসএ’র নিজস্ব ফান্ডের অর্থায়নে আয়োজনটি সম্পন্ন হবে।
উল্লেখ্য, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ইতিহাসে মহকুমা স্টেডিয়ামে ১৯৫৬ সালে এ অঞ্চলের মানুষের বিনোদনের নিমিত্তে এস.ডি.ও সাহেবের বলী খেলা নামে প্রথম বারের মতো প্রতিযোগিতামূলক বলী খেলার প্রচলন শুরু হয়। ‘বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা’ তখন থেকে পরিণত হয় এই জনপদের অধিবাসীদের প্রাণের উৎসবে। ১৯৮৪ সালের পহেলা মার্চ কক্সবাজার মহকুমা জেলায় উন্নীত হওয়ায় এস.ডি.ও সাহেরের বলী খেলার নতুন নামকরণ হয় ডি.সি. সাহেবের বলী খেলা ও বৈশাখী মেলা। তখন থেকে যুগ যুগ ধরে সমুদ্র নগরীর মানুষের বাঙ্গালীয়ানার বিনোদনের অংশ হিসেবে চলে আসছে এটি।