কক্সবাজার প্রতিনিধি »
‘বাল্য বিবাহ করবো না, বাল্য বিবাহ হতে দিবো না’ বলে শপথ নিলেন কক্সবাজারের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের ৪ শতাধিক শিক্ষার্থী।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে কক্সবাজারের ইনানী রয়েল টিউলিপ হোটেলে আয়োজিত ‘কিশোর-কিশোরী মেলা’ অনুষ্ঠানে তারা এ শপথ নেয়।
তথ্য মন্ত্রণালয়ের আওতায় শিশু ও নারী উন্নয়ন সচেতনমূলক যোগাযোগ প্রকল্পের আওতায় ইউনিসেফের সহযোগিতায় বাংলাদেশ বেতার ও জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অফ কমিউনিকেশন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক মো. নুরুল করিম।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বয়ঃসন্ধিক্ষণই হচ্ছে কিশোর-কিশোরীদের কঠিন সময়। এ বয়সে যারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করবে, তাদের জীবন অন্ধকারে পতিত হতে পারে। তাই এ সময়ে ভুল করা যাবে না। সম্প্রতি কিশোর গ্যাং-এর নামে যা সৃষ্টি হয়েছে তা এই বয়সেরই ভুল সিদ্ধান্তের ফসল বলে মনে করি আমি। তাই, মান সম্মত শিক্ষার যে ৬ টি মানদণ্ড রয়েছে, তা প্রতিটি শিক্ষার্থীদের আয়ত্ত করে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার আহবান জানান তিনি।
প্রধান অতিথি আরও বলেন, প্রতিটি শিশুর উচিত নিজের পিতা-মাতাকে বন্ধু ভাবা। কারণ বন্ধু নির্বাচন ভুল করলে জীবনের অনেক ক্ষতি হতে পারে। মনে রাখতে হবে, অজ্ঞ বন্ধুর চেয়ে, জ্ঞানি শত্রু উত্তম।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাসুদুর রহমান মোল্লা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূখ্য আলোচক ছিলেন, বাংলাদেশ বেতারের মহ-পরিচালক নারায়ণ চন্দ্র শীল। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) নিহাদ আদনান তাইয়ান এবং ইউনিসেফ কক্সবাজারের চিফ অফ ফিল্ড অফিস জ্যা মেটেনিয়ার।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার ইউনিসেফের সহযোগিতায় স্কুল ও কমিউনিটি পর্যায়ে ৭৫ টি কিশোরের অগ্রদূত বেতার শ্রোতাক্লাব গঠন করা হয়েছে। বাংলাদেশ বেতার কক্সবাজার এই সকল ক্লাবের সদস্যদের জীবন দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক প্রশিক্ষণ প্রদানের পাশাপাশি ক্লাবের সদস্যদের নিয়ে বিভিন্ন কুইজ ও ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান নির্মাণ ও প্রচার করা হয়। এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৈশোরের অগ্রদূত বেতার শ্রোতা ক্লাবের সদস্যরা তাদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন এবং কি করলে এই সকল সমস্যা দূর করা যেতে পারে সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত প্রদান করে থাকেন।
বাংলাধারা/এফএস/এএ