সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার »
কক্সবাজারে মুজিববর্ষের ঘর পাচ্ছেন আরো ৩৮৫ পরিবার। তৃতীয় পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে আগামী ২১ জুলাই ভূমিহীনদের মাঝে এসব ঘর তুলে দেয়া হবে। ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতিও সম্পন্ন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) দুপুরে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের শহীদ এটিএম জাফর আলম সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. মামুনুর রশীদ।
ডিসি বলেন, ‘মুজিববর্ষে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’— এ স্লোগানে দেশের অন্যান্য জেলার মতো কক্সবাজার ৪ হাজার ৭৭২ পরিবারকে ঘর দেয়া হচ্ছে। সাথে দেয়া হবে জমির দলিলও। ইতিমধ্যে দুইটি পর্যায়ে এক হাজার ৪২৫ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। তৃতীয় পর্যায়ে এক হাজার ৪৬৩ টি ঘরের বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তৃতীয় পর্যায়ের প্রথম ধাপে চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল ৮৬৭ টি ঘরের নির্মাণ কাজ শেষে দলিলসহ হস্তান্তর করা হয়। আগামী ২১ জুলাই আরো ৩৮৫ পরিবারের মাঝে ঘরের চাবি ও দলিল তুলে দেয়া হবে।’
ডিসি মামুনুর রশীদ আরও বলেন, ‘নির্মিত ঘরগুলো বরাদ্দ দেয়া শেষ হলে তালিকাভূক্ত এক হাজর ৮৮৪ টি পরিবার অবশিষ্ট থাকবে। সরকারি খাস জমি পাওয়া না গেলেও প্রয়োজনে জমি ক্রয় করে তাদের ঘর দেয়া হবে।’
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক বলেন, ‘মুজিব শতবর্ষের ঘর নির্মাণে যদি কোন অনিয়ম ধরা পড়ে তাহলে কঠিন আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ আর গৃহহীন এসব মানুষের কর্মসংস্থানের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
জেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, আগামী ২১ জুলাই কক্সবাজার সদরে ১১৭টি, চকরিয়া ৪০, পেকুয়া ৩১, রামু ১৩০, মহেশখালী ৫, উখিয়া ৪৩, টেকনাফে ১৪ এবং কুতুবদিয়া ৫ টি পরিবারের মাঝে মুজিব বর্ষের উপহার এসব ঘর তুলে দেয়া হবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আমিন আল পারভেজ বলেন, ‘১৯৯৭ সালে প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবার পুনর্বাসনের লক্ষ্যে ‘আশ্রয়ণ’ নামে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে এসব ঘর দেওয়া হচ্ছে। সরকার চাই দেশে একটি মানুষও যেন গৃহ ও ভূমিহীন না থাকে।’
এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহি ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারি ও জেলার বিভিন্ন ইলেকট্রনিক এবং প্রিন্ট মিডিয়ার কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।