সায়ীদ আলমগীর, কক্সবাজার »
কক্সবাজারে মাদক মামলায় জামিনের শর্ত হিসেবে সাড়ে ৩ কোটি টাকা জামানত আদায় করে বিচারিক প্রশাসন। গত ৮ মার্চ হতে ২৪ জুলাই ৪ মাসে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালত, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে আদালতসহ মহামান্য হাইকোর্ট হতে মাদকের মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে এ টাকা আদায় করা হয়। আদায়কৃত এসব টাকা জমা হয়েছে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।
উচ্চ আদালত থেকে নেয়া জামিনের নিম্ন আদালত থেকে ফ্রেশ বেইল নিতে মাদক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের শর্ত হিসেবে আর্থিক জামানতের বিধানটি চালু করেছেন কক্সবাজারের বিজ্ঞ সিনিয়ির জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইল।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অধিকাংশ মামলার আসামীরা হাইকোর্ট হতে জামিন নিয়েছেন। জামিনপ্রাপ্ত হয়ে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিননামা দাখিল করলে আসামিদের কাছ থেকে জামানত হিসেবে এই অর্থ আদায় করা হয়। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে ২ কোটি ৯১ লাখ ৯৪ হাজার টাকা, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুল্লাহ আল মামুনের আদালতে ২১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা,চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আলমীগর ফারুকীর আদালতে ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকা, যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদুল হাসানের আদালতে ২০ হাজার টাকা জামানত আদায় করা হয়।
কক্সবাজার জজ আদালতের জেলা নাজির বেদারুল আলম জানান, জামানত আদায়কৃত মামলার মাঝে অধিকাংশ মাদক মামলা। উচ্চ আদালত কিংবা নিম্ন আদালতে মাদক মামলায় জামিনপ্রাপ্ত আসামিদের জামিনের শর্ত হিসেবে আর্থিক জামানতের বিধানটি চালু করা হয়েছে।
আদায়কৃত জামানতের টাকা ফেরতযোগ্য কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, জামিনের শর্তে উল্লেখ করা হয় যে, জামিনপ্রাপ্ত আসামি পলাতক হলে জামানতের টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। আবার এসব আসামি বিচারে খালাসপ্রাপ্ত হলে জামানতের টাকা খালাসপ্রাপ্ত আসামিকে ফেরত প্রদান করা হবে।
এদিকে, ব্যতিক্রমী এ সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন সচেতন মহল। মাদক প্রতিরোধে এটি ভুমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন তারা। মাদক ব্যবসা ও মাদক ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রনে আরো যুগান্তকারী উদ্যোগের আহবান জানান তারা।