ksrm-ads

৫ ডিসেম্বর ২০২৪

ksrm-ads

নৌ-যান চলাচল বন্ধে খাদ্য সংকট

কক্সবাজার থেকে নিত্যপণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল জাহাজ

নৌ-যান চলাচল বন্ধে খাদ্য সংকট

কক্সবাজার থেকে নিত্যপণ্য নিয়ে সেন্টমার্টিন গেল জাহাজ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
নাফনদ পার হতে গিয়েই মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গুলি করার জের ধরে সপ্তাহের বেশি সময় টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌ-পথে যান চলাচল বন্ধ। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণয় সংকটে পড়েছেন দ্বীপবাসী। এ সমস্যা উত্তরণে চাল, ডাল, পিয়াজ, তেলসহ নানা ধরনের ভোগ্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে এমভি ‘বারো আউলিয়া’ নামে একটি জাহাজ নিয়ে গেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১৪ জুন) বেলা সোয়া ২টার দিকে কক্সবাজার শহরের নুনিয়ারছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে জাহাজটি সেন্টমার্টিনের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ সময় জাহাজটিতে দ্বীপের দেড় শতাধিক লোকজনও উঠেছেন।

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) মো. ইয়ামিন হোসেন জানান, দ্বীপের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সমন্বয় করে জাহাজটি পাঠানো হয়েছে। এটি বঙ্গোপসাগর দিয়ে টেকনাফ পৌঁছে ঘোলারচর হয়ে সেন্টমার্টিন পৌঁছাবে।

পণ্য সামগ্রীর পাশাপাশি কক্সবাজারে আটকা পড়া সেন্টমার্টিনের অনেক বাসিন্দাও এই জাহাজে করে ফিরবেন।

শুক্রবার বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে, ‘এমভি বারো আউলিয়া’ জাহাজে তোলা হয় চাল, ডাল, পেঁয়াজসহ নানা ধরণের ভোগ্য পণ্য। একই সঙ্গে কক্সবাজারের বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়া সেন্টমার্টিনের বাসিন্দারাও জড়ো হন নিজ এলাকায় ফেরার জন্য।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) বিকালে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের নিরাপত্তায় সেন্টমার্টিন থেকে তিনটি ট্রলারে করে দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফ পৌঁছান। এ সময় টেকনাফ থেকে চারটি ট্রলারে করে তিন শতাধিক লোক সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হন।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে চারটি ট্রলারে লোকজন নিয়ে সেন্টমার্টিন দ্বীপে যায়। সেখান থেকে অন্তত দুই শতাধিক মানুষ টেকনাফে ফিরে আসেন। এসময় বিজিবি ও কোস্টগার্ড সদস্যরা নিরাপত্তা জোরদার করেছিলেন।

প্রসঙ্গত মিয়ানমারে সংঘাতের জেরে টেকনাফ সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের নাফ নদীর নাইক্ষ্যংদিয়া ঘোলারচর পয়েন্টে বাংলাদেশি ট্রলারকে লক্ষ করে মিয়ানমার থেকে বার বার গুলি ছোঁড়া হয়। এ ঘটনায় গত এক সপ্তাহ ধরে ট্রলার চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দ্বীপটিতে খাদ্য সংকট দেখা দেয়।

এ অবস্থায় বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার থেকে বিকল্প পথে জাহাজ চলাচল শুরু করা হয়।

আরও পড়ুন