কক্সবাজার প্রতিনিধি »
কক্সবাজার শহরের ভয়ংকর কিলার ও সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান আশরাফ আলী ওরফে আশু আলী (২৫) র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে। শনিবার (১৭ জুলাই) ভোরে কক্সবাজার শহরের ৬ নং ওয়ার্ডের সাহিত্যিকা পল্লী বড়বিল মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেশি বন্দুক ও গুলি ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১৫ এর উপ অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার তানভির হাসান। নিহত আশুআলী কক্সবাজার পৌরসভার বিজিবি ক্যাম্প ফরেস্ট অফিস পাড়ার জাফর আলমের ছেলে।
র্যাব-১৫ কর্মকর্তা তানভির হাসান জানান, কক্সবাজার শহরের সাহিত্যিকা পল্লী বড়বিল মাঠ এলাকায় শহরের শীর্ষ সন্ত্রাসী আশরাফ আলী ওরফে আশু আলীর অবস্থানের খবর পেয়ে র্যাবের একটিদল অভিযানে যান। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে আশু আলী বাহিনীর সদস্যরা গুলি করে। র্যাবও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। গোলাগুলির এক পর্যায়ে আশু আলী বাহিনীর সদস্যরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশী করে একটি স্যুটারগান, একটি দেশীয় তৈরী এলজি, ২টি গুলি ও ৪টি গুলির খোসা ও গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সন্ত্রাসী আশু আলীকে উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে, কক্সবাজার শহরের ক্রাইমজোন হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকা, সমিতি বাজার, সিকদার বাজার ও জেলা কারাগারের পেছনের এলাকা আশু আলী বাহিনীর রাজত্ব। এসব এলাকায় হত্যা, ছিনতাই, অপহরণ, ডাকাতি, জমি দখল, চাঁদাবাজিসহ সব ধরনের অপরাধ কর্মকান্ড চলে আসছে। এসব প্রতিরোধ করতে সবার দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গত দেড় বছর আগে দক্ষিণ রুমালিয়ারছড়া এলাকায় করা হয় কক্সবাজার শহর পুলিশ-ফাঁড়ি। আশু আলী বাহিনী প্রধান হবার আগে তাদের প্রধান ছিলেন আমির খান। ২০১৯ সালে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আমির খান মারা যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আশরাফ আলী ওরফে আশু আলীর বিরুদ্ধে হত্যা, ছিনতাই, অস্ত্র, ডাকাতি প্রস্তুতিসহ প্রায় ১২টি মামলা রয়েছে।
বাংলাধারা/এফএস/এআর