বাংলাধারা প্রতিবেদন »
রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আরও একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) রাতে হাসপাতালটির দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এ নিয়ে ওই হাসপাতালের দুজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলেন।
রাজধানীর এক বাসিন্দা গত শনিবার ওই হাসপাতালে মারা যান। তীব্র শ্বাসকষ্ট নিয়ে তিনটি হাসপাতাল ঘুরে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ১৭ মার্চ। যেদিন তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে নিশ্চিত হওয়া যায়, সেদিনই দিবাগত রাতে তিনি ওই হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
ওই ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নিশ্চিত হওয়ার বিষয়টি জানার পর থেকেই সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকেরা কোয়ারেন্টিনে যান।
এর আগে গত রোববার ওই হাসপাতালের একজন চিকিৎসক করোনাভাইরাসে আক্রান্ত বলে জানা যায়। এরপর একই হাসপাতালের দ্বিতীয় চিকিৎসকের করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কথা আজ জানা গেল। এই চিকিৎসকের মেয়ে অবশ্য ওই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শঙ্কা জানিয়েছিলেন, তার ডায়াবেটিস আক্রান্ত বাবাও আক্রান্ত হতে পারেন করোনায় ।
বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় মহাখালীতে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান ,দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ১২৬ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে নতুন করে ৫ জনের মধ্যে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বর্তমানে দেশে মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ৪৪ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন, মারা গেছেন পাঁচজন। নতুন করে কোনো মৃত্যু নেই।
তিনি বলেন, নতুন আক্রান্ত পাঁচজনই পুরুষ। এদের দুজনের বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, দুজন ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে, একজন ষাটোর্ধ্ব। একজন বিদেশফেরত। তিনজন অন্য রোগীর সংস্পর্শে আক্রান্ত হয়েছেন। একজনের বিষয়ে এখনও অনুসন্ধান চলছে। সূত্র : পূর্বপশ্চিমবিডি
বাংলাধারা/এফএস/টিএম/এএ